চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে শহরের আদর্শ মহিলা কলেজ এলাকার একটি আমবাগান থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।



গাছ থেকে আম ভেঙে চলতি মৌসুমের সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। ফলে জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিন থেকেই বাজারে মিলবে চুয়াডাঙ্গার আম।







এ উপলক্ষে মহলদার আম্রকাননে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপ পরিচালক দেবাশীষ কুমার দাস।

ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে জেলার বাগানের আঁটি, গুঁটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহের দিন নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

এছাড়া আগামী ২২ মে হিমসাগর, ২৮ মে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রপালি, ১৫ জুন ফজলি এবং বারি-৪ জাতের আম ২৮ জুন থেকে সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, জেলার চারটি উপজেলায় ২৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা থেকে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রতি কেজি আম বাজার পর্যায়ে উৎপাদন মূল্য গড়ে ৩০-৪০ টাকা ধরা হয়েছে। যা থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, দেশের যেসব এলাকা আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত তার মধ্যে অন্যতম চুয়াডাঙ্গা। বিশেষ করে হিমসাগর জাতের আমের সুখ্যাতি রয়েছে দেশ ও বিদেশে। আমরা সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চায়। এজন্য কোনোভাবেই অপরিপক্ব আম বাজারজাত করা যাবে না বলে চাষিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আম সংগ্রহের দিন পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া আমের সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে যাতে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।

আরএ



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews