বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়ার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। এক্স প্ল্যাটফর্মে ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে দ্রুত দেউলিয়ার পথে এগোচ্ছে।’
তার এই মন্তব্য এসেছে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি( DOGE)-এর একটি পোস্টের প্রতিক্রিয়ায়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬.১৬ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করলেও আয় হয়েছে মাত্র ৪.৪৭ ট্রিলিয়ন ডলার। DOGE-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই প্রবণতা বদলাতে হবে এবং বাজেট ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে DOGE বিভাগ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি সরকারি আমলাতন্ত্র কমানোর পাশাপাশি অপচয় ঠেকাবে। মার্কিন জাতীয় ঋণ ২০২৪ সালের শুরুতে ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এই ঋণ বৃদ্ধির পেছনে কোভিড মহামারি ও লকডাউন প্রণোদনা একটি বড় কারণ।
ট্রাম্প এর আগে ঋণ পরিশোধে বিকল্প পন্থা হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি এক মন্তব্যে বলেন, আমরা তাদের (ঋণদাতাদের) একটি ক্রিপ্টো চেক দেব। সামান্য বিটকয়েন দিয়ে আমাদের ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ মুছে দেব।
সরকারি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে ট্রাম্প প্রশাসন ইলন মাস্ক ও ব্যবসায়ী বিবেক রামাস্বামির ওপর নির্ভর করছেন। তারা প্রশাসনের জন্য বিস্তারিত সুপারিশ প্রদান করবেন। মাস্ক এক পোস্টে বলেন, অতিরিক্ত সরকারি ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই ঋণ বৃদ্ধি টেকসই নয়।
DOGE বিভাগের নাম ২০১৩ সালের বিখ্যাত শিবা ইনু ডগ মিম থেকে নেওয়া। এটি ডজকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যুক্ত, যা ইলন মাস্কের প্রিয় মুদ্রা হিসেবে পরিচিত। এমনকি তার প্রতিষ্ঠান টেসলাও ডজকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে।
বিটকয়েন হলো একটি বিকেন্দ্রীকৃত ডিজিটাল মুদ্রা। এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করে এবং কোনো সরকার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই কাজ করে।
বর্তমানে এক বিটকয়েনের মূল্য ৯৭,৪৫৫.৭০ মার্কিন ডলার। গত ২৪ ঘণ্টায় এর মূল্য ৪.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল