আজকের পাঞ্জাবে সমৃদ্ধির চেয়ে হতাশা বেশি। এত হতাশা, এত হাহাকার ও এত পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণও অনেক। প্রধান কারণ যদিও অর্থনৈতিক। বেকারত্ব ও কৃষিনির্ভরতাজনিত সর্বাত্মক হতাশায় হামাগুড়ি দিয়ে গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে মাদকের দাপাদাপি। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে পাঞ্জাবের প্রধান সমস্যা। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকায় কোনোভাবেই কারও পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না মাদকের মোকাবিলার। পাকিস্তান এ সুযোগ গ্রহণে গড়িমসি করেনি। সরকারি গোয়েন্দাদের মতে, রাজনীতিবিদ, পুলিশ ও মাদক কারবারিদের যোগসাজশের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে পাকিস্তান। ষোলো আনা মাদকই পাঞ্জাবে আসছে সীমান্তের ওপার থেকে।
এ পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবি সিনেমার জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা সন্দীপ সিং সিধু যুব সম্প্রদায়কে জোটবদ্ধ করে আর্থসামাজিক পরিবর্তন আনতে এগিয়ে আসেন। ২০১৯ সালে আচমকাই তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। সেই বছর এই রাজ্য থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর পুত্র সানি দেওল। তাঁর নির্বাচনী প্রচারে সিধু নেমে পড়েন। পরের বছর ঝাঁপিয়ে পড়েন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা কৃষক আন্দোলনে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি গড়ে তোলেন এক আধা রাজনৈতিক সংগঠন। নাম দেন ‘ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে’, অর্থাৎ পাঞ্জাবের উত্তরাধিকারী। কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়ে দিল্লি অভিযানের সময় এই সন্দীপ সিং সিধুই লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা নামিয়ে তুলে দিয়েছিলেন শিখ খালসার ধর্ম পতাকা ‘নিশান সাহিব’। সন্দীপ থেকে তত দিনে তিনি সবার কাছে পরিচিত হয়ে গেছেন ‘দীপ সিধু’ নামে।