পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফলাফলে এগিয়ে থাকা দলগুলো জোট সরকার গঠনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাথে দর কষাকষি করছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
এর মাঝেই ইমরান খানের দলের সমর্থনে নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রার্থীদের নিজ নিজ দলে টানতে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিচ্ছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের নিবন্ধন বাতিল করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল আসনে জয় পেয়েছেন দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ফল প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে কোনও নিবন্ধিত দলে যোগদান অথবা সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে থাকতে পারবেন তারা।
কিন্তু জোট সরকার গঠন করা নিয়ে পিএমএল-এন ও পিপিপির মাঝে এখনও সমঝোতা না হওয়ায় পিটিআই-সমর্থিত অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দলে ভেড়ানোর জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে পিএমএল-এন। ইতিমধ্যে পিটিআই-সমর্থিত বিজয়ী এক প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পিএমএল-এনে যোগ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই-সমর্থিত প্রথম বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের লাহোরের এনএ-১২১ আসনের ওয়াসিম কাদির পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন। পিএমএল-এনের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দলটির জ্যেষ্ঠ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজের পাশে দাঁড়িয়ে ওয়াসিমকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি আমার ঘরে ফিরেছি।’’
প্রাথমিকভাবে দলটি কাদিরকে পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে বর্ণনা করে এক্স পোস্টে এই ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই ভিডিওটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়। পরে নতুন এক ভিডিওতে ওয়াসিম কাদিরকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে তার পিএমএল-এনে যোগদানের তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পিটিআই-সমর্থিত ওয়াসিম কাদির এনএ-১২১ আসনে পিএমএল-এনের প্রার্থী শেখ রোহেল আসগরকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।