লর্ডস টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জো রুট। শুক্রবার তিন অঙ্কে পৌঁছাতে দরকার ছিল মাত্র ১ রান। সেই রান এসেছে দিনের প্রথম বলেই, যশপ্রীত বুমরার বলে চার মেরে পৌঁছান মাইলফলকে।
শুধু সেঞ্চুরির মাইলফলক নয়, এই এক রানে আরো বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েন রুট। ক্যারিয়ারের ৩৭তম সেঞ্চুরি নিয়ে বনে যান টেস্ট ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক।
এখানেই শেষ নয়। লর্ডসের মাটিতে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন রুট।
গত বছরের আগস্টে এ মাঠেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ইনিংসে করেছিলেন ১৪৩ ও ১০৩।
ক্যারিয়ারের ১৫৬তম টেস্ট খেলা রুটের ইনিংস থামে ২০ চারে ১৯৯ বলে ১০৪ রানে। তার বিদায়ের পরই অবশ্য হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ইনিংস। ৩৮৭ রানে প্রথম ইনিংস থামে ইংল্যান্ডের।
৫ উইকেট নেন বুমরাহ। ৪ উইকেটে ২৫২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই তার বোলিং তোপে পড়ে ইংলিশরা। ৪৪ রানে বোল্ড হন বেন স্টোকস (৪৪)। পঞ্চম ওভারে ফেরান সেঞ্চুরিয়ান রুটকেও। পরের বলেই ক্রিস ওকসও (০) শিকার হন তার।
২৭১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০০ পেরোনোর শঙ্কা দেখা দেয় ইংল্যান্ডের। তবে শেষদিকে জেমি স্মিথের ৫১ ও ব্রাইডন কার্সের (৫৬) প্রথম টেস্ট ফিফটিতে ৩৮৭ করে তারা।
শেষদিকে জফরা আর্চারকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূরন করেন বুমরাহ। এই জয়ে টেস্টে ১৫তমবার ৫ উইকেট নিলেন তিনি। দু’টি করে উইকেট নেন সিরাজ ও নিতিশ কুমার।
এদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতেরও। ৪ বছরের বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নেমে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট উদযাপন করেন জফরা আর্চার। ১৩ রানে ফেরান যশস্বী জয়সাওয়ালকে।
এরপর বেন স্টোকসের বলে করুন নায়ার আউট হন ৪০ রানে। আর দলকে তিন অংকে পৌঁছে দিয়েই ফেরেন শুভমান গিলও। লিডসে সেঞ্চুরি আর এজবাস্টনে ইতিহাস গড়া গিল এবার থামেন ৪৪ বলে মাত্র ১৬ রানে।
এরপর লোকেশ রাহুল ও রিশাভ পান্ত মিলে ধরেছেন দলের হাল। পান্ত ৩৩ বলে ১৯ ও রাহুল অপরাজিত আছেন ফিফটি তুলে ১১৩ বলে ৫৩ রানে। তাতে দিন শেষ হওয়ার আগে ৩ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত।
দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ড থেকে ২৪২ রানে পিছিয়ে ভারত। যদিও হাতে আছে এখনো ৭ উইকেট।