কয়েক বছর ধরে খেলার চেয়ে চেয়ার নিয়ে টানাটানিতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন হকির কর্মকর্তারা। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আগের কমিটির অনেকেই এখন লাপাত্তা। গত কয়েক মাস আলোর মুখ দেখেনি হকির নীল টার্ফ। স্থবির হওয়া ক্রীড়াঙ্গনকে সচল রাখতে গত সপ্তাহে ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তার একটি হলো, হকি ফেডারেশন।
নতুন কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর বুধবার বিমানবাহিনীর ফ্যালকন হলে প্রথম সভা হয়। হকি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের সভাপতিত্বে নির্বাহী কমিটির প্রথম সভার স্থায়িত্ব ৩০ মিনিটের মতোও ছিল না। স্বল্প সময়ের মিটিং শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি। আগামী সপ্তাহে ফেডারেশনে গিয়ে সব কাগজপত্র দেখে সবকিছু বুঝে তার পরই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। মাঠে হকি রাখতে এবং স্কুল পর্যায়ে এই খেলা ছড়িয়ে দেওয়াটাই প্রধান কাজ বলে জানিয়েছেন রিয়াজুল হাসান।
আর্থিক চিন্তা করে হকির অনেক খেলোয়াড়ই অন্য পেশায় চলে গেছেন। ট্যালেন্ট হান্ট তো দূরের কথা, ঢাকার লিগটাও নিয়মিত হয় না। দেশের সম্ভাবনাময় এই খেলাটাও এখন মৃতপ্রায়। হকির জৌলুস ফেরানোর জন্য তৃণমূলে তা ছড়িয়ে দিতে চান সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান, ‘মাননীয় সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী, আমরা হকি ফেডারেশনকে আবার উজ্জীবিত কীভাবে করতে পারি, এটাই আসল লক্ষ্য। এটা করার জন্য আমাদের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। এই খেলাটাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। স্কুল লেভেলে নিয়ে যেতে হবে, যেখান থেকে বিভিন্ন খেলা ওঠে আসে। এই খেলাটাকে যদি আমরা পুরোপুরিভাবে আবার আগের একটা জৌলুস আনতে চাই, আমাদের নিচে নামতে হবে। এই কমিটি একটা টিম হিসেবে কাজ করবে। আমাদের কারও এখানে কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকবে না।’