প্রতিবছরই ইংল্যান্ডে বেড়ে চলেছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। দীর্ঘ সময় ধরেই আবাসন সংকটে ভুগছে দেশটির অধিকাংশ মানুষ। অতিরিক্ত ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে না পেরে রাস্তায় থাকতে হচ্ছে অনেককেই।
গত ১২ মাসে ইংল্যান্ডে আবাসন সমস্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ব ইংল্যান্ডজুড়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ২৪,০০০ মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছে ১১,৫০০ শিশু। এ নিয়ে দেশটিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ দাঁড়াল। বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।
কাউন্সিল জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পূর্ব ইংল্যান্ডের অঞ্চলগুলোর মধ্যে লুটন, বেডফোর্ড এবং এসেক্সের ব্যাসিলডনে সবচেয়ে বেশি গৃহহীন মানুষ রয়েছে। লুটনে ৫৭ জনে একজন গৃহহীন। ব্যাসিলডনে ৯৪ জনে একজন ও বেডফোর্ডে ১০৩ জনের মধ্যে একজন গৃহহীন।
সাউথেন্ড-অন-সি সর্বোচ্চ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে গড়ে রাতে রাস্তায় ৩৫ জন লোক বাস করছেন।
দাতব্য সংস্থার তথ্য মতে, গৃহহীনতার কারণগুলোর পেছনে ‘অপ্রতুল আবাসন সুবিধা, ক্রমবর্ধমান উচ্ছেদ এবং সত্যিকারের সাশ্রয়ী মূল্যের সামাজিক বাড়ির অভাবের কারণে এমনটি হচ্ছে। যেসব পরিবার গৃহহীন হয়ে যায় তাদের সাধারণত তাদের স্থানীয় কাউন্সিল দ্বারা অস্থায়ী বাসস্থানে রাখা হয়।
দাতব্য সংস্থা নরউইচ সার্ভিসের কর্মকর্তা লিড লেসলি বার্ডেট বলেছেন, ‘এটা অকল্পনীয়-ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৪,০০০ মানুষ এই শীতে গৃহহীন কাটিয়ে দেবে। তাদের মধ্যে অনেকেই তাদের পুরো পরিবার নিয়ে ভিজে রাস্তায় কাঁপতে থাকবে।’
তিনি আরও জানান, ‘ইংল্যান্ডের পূর্বজুড়ে, সত্যিকারের সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ির অভাবে পাশাপাশি চাঁদাবাজি বাড়ায় অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।’ এমনকি তিনি সরকারকে জরুরিভাবে সামাজিক ঘর তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে আবাসন, সম্প্রদায় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই পরিসংখ্যানগুলো হতবাক এবং তারা গৃহহীন সংকটের চরম বাস্তবতাটি তুলে ধরছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গৃহহীনদের জন্য তহবিল গঠনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবর্তনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে তারা প্রয়োজনীয় সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি তৈরি করবে।