প্রতিবছর ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ হিসেবে অক্টোবর মাসকে পালন করা হয়। সাইবার হামলা মোকাবিলা করতে প্রয়োজন অনলাইনের তথ্য ও ডিভাইসের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
অনলাইনে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়, সে বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতার মাসে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস ভুক্তভোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস স্ক্যান
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আইডি স্ক্যানিং পাসকোডের চেয়ে তুলনামূলক নিরাপদ। ডিভাইসে বিল্ট-ইন ফিচারে সুবিধা দেওয়ায় সংবেদনশীল তথ্যের ক্ষেত্রে এটি বেশি সুরক্ষা দেয়।
মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন
নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ধাপ হলো মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (এমএফএ), যা ব্যবহারে সাইবার অপরাধীরা সহজে কারও অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস নিতে পারেন না। বিশেষ করে ই-মেইলের ক্ষেত্রে এটি সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কয়েকটি ধাপে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করলে সাইবার চক্র সহজে যে কোনো অ্যাকাউন্টে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।
অ্যাপ স্টোর
অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর, গুগল প্লে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি স্টোরের মতো অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর ছাড়া অপরিচিত ওয়েবসাইটের অ্যাপ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রয়োজনীয় অ্যাপ যদি অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরে না থাকে, তবে সেগুলো ডেভেলপারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে বা অ্যাপের ওয়েব সংস্করণ ব্যবহার করবেন।
সন্দেহজনক ই-মেইল ও টেক্সট
অপ্রত্যাশিত কোনো ই-মেইল বা টেক্সট মেসেজ পেলে তা এড়িয়ে চলুন। অন্তত ই-মেইলের সঙ্গে থাকা অ্যাটাচমেন্ট বা কোনো লিঙ্ক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদি মনে হয়, ই-মেইলটি ভুয়া নাও হতে পারে, তবে যিনি ই-মেইল পাঠিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।