বিশ্বের অর্থনৈতিক নেতারা বৈঠকে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল সবকিছু ছাপিয়ে যেতে পারে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। বিষয়টি হলো, আগেরবারের মতো এবারও ট্রাম্প বিপুল হারে শুল্ক আরোপ করবেন। সেই সঙ্গে তাঁর যে নির্বাচনী অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ আরও বাড়বে। জলবায়ু সহযোগিতা থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।
এই বাস্তবতায় মার্কিন নির্বাচন এখন বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ভূ-অর্থনীতি কেন্দ্রের প্রধান জশ লিপস্কি। বিষয়টি আনুষ্ঠানিক এজেন্ডায় না থাকলেও এটা এখন সবার মূল ভাবনা। তিনি একসময় আইএমএফে কাজ করতেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি ও ডলারের ভবিষ্যৎ; সেই সঙ্গে পরবর্তী ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান কে হবেন, সেটাও। বাস্তবতা হলো, বিশ্বের প্রতিটি দেশে এসবের প্রভাব পড়বে।
ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জয়ী হলে জলবায়ু, কর ও ঋণসহায়তার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের মতো চীনবিরোধী অবস্থান বজায় রেখেছে। চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও সৌর প্যানেলে শুল্ক বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে ধনী দেশগুলোর শিল্পনীতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।