এ পরিস্থিতিকে নতুন স্নায়ুযুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আঁদ্রেই কোস্তিন বলেন, এটা এখন আর স্নায়ুর পর্যায়ে নেই, তা প্রকৃত যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘হট ওয়ার’, যা স্নায়ুযুদ্ধ বা ‘কোল্ড ওয়ার’-এর চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক।
এদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের দেশে থাকা রাশিয়ার অনেক সম্পদ জব্দ করেছে। কোস্তিন মনে করেন, এ পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার খাবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক দেশ এখন ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য মুদ্রায় বাণিজ্য করছে এবং চীন মুদ্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার নীতি থেকে সরে আসছে।
কোস্তিন আরও বলেন, ‘চীন বুঝতে পারছে, ইউয়ানকে রূপান্তর–অযোগ্য মুদ্রা হিসেবে রেখে তাদের পক্ষে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি হওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম বন্ডে রিজার্ভ বিনিয়োগ করে রাখা চীনের জন্য বিপজ্জনক।
বিশ শতকের গোড়া থেকেই মার্কিন ডলার বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা। ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিংকে হটিয়ে তারা এ স্থান অধিকার করে। এদিকে বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যান বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে ডিডলারাইজেশন বা ডলারের আধিপত্য খর্ব হতে শুরু করেছে।