দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানি হয়েছে ৩৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পেঁয়াজভর্তি ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে নোঙর করে। বিকেলে ট্রলার থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস করা হচ্ছে।
এ তথ্যাটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, টেকনাফের স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও আমদানিকারক মেসার্স ফারুক এন্টারপ্রাইজ এ পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছেন। টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে পেঁয়াজগুলো ট্রলার থেকে খালাস করা হচ্ছে। জসিম উদ্দিন আরো জানান মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আরো কয়েকটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের পথে রয়েছে।
স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা বন্ধ ছিল। মিয়ানমারের রাখাইনে সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার সামরিক জান্তার মধ্যে গত এক বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। যে কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে মিয়ানমারের মধ্যকার সীমান্ত বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে।
আজ মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ৩৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার বিএম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, পেঁয়াজগুলো খালাস করার পর ট্রাকে ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় আমদানিকারকরা জানিয়েছে দীর্ঘদিন পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো। পেঁয়াজ নিয়ে আরো ট্রলার টেকনাফের পথে রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হলে দেশে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসবে।