সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারতীয় সরকারের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। কিছুতেই দেশটি শেখ হাসিনার চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছে না। তাই ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে শুরু করে মোদি সরকারের কেউ মেনে নিতে পারছে না শেখ হাসিনার এই চলে যাওয়া।
ভারতীয় সরকার থেকে শুরু করে তাদের গণমাধ্যম বাংলাদেশকে নিয়ে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন অপপ্রচার। ইতোপূর্বে কলকাতায় বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে মোদির বিজেপি।
এছাড়া উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকনের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে বিজিবি নেতারা। আগেই বিজেপির কলকাতা নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এরকম হিন্দু নিধন, হিন্দু প্রভু নেতাদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার এই ধরনের জিনিস আমরা কখনো দেখিনি।
তবে গেল কয়েকদিন আগেই ঘটেছে ভিন্ন এক ঘটনা ভারতের হিন্দু মঞ্চ নামে এক সংগঠন বাংলাদেশ সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করেছে। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সিলেটের সুতারকান্দি স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জের সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ করে হিন্দু মঞ্চ।
দ্বিতীয়ত, গেল কদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় দুই প্রতিবেশির মধ্যে। যেখানে গতকাল বিবিসি বাংলা তাঁদের এক প্রতিবেদনে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে জানায়, গতকাল সীমান্তে বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের প্রতিবেশিরা বাক বিতন্ডায় জড়ায়। যেখানে ভারতের সীমান্ত জনগণের জয় শ্রীরামের বিপরীতে এপাড় থেকে স্লোগান উঠে নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার।
অবশ্য ভারতের সংবাদমাধ্যম, টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মালদার বৈষ্ঞবনগরে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ। কিন্তু এতে আপত্তি জানায় বাংলাদেশের বিজিবি। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার আবারও বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে ওইদিন পতাকা বৈঠকের পর নির্মাণকাজ ফের বন্ধ করা হয়। এরপর এটি আর শুরু হয়নি।
সংবাদমাধ্যটি আরো জানায়, যেহেতু বেড়া নির্মাণ জরুরি নয়। তাই অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা এড়াতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি দ্রুত শুরু হবে। তবে আমরা কোনো দিন তারিখ নির্ধারণ করছি না।”
অবশ্য এ বিষয়ে আজ মুখ খুলেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ভারতের বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে কাজ করবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের এই বৈঠকের পর, এখন বলা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সীমান্ত উত্তেজনা কমে আসবে।