বিদেশীরা ক্ষমতায় বসাবে বিএনপির সে কর্পূরও উড়ে গেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, আগে ঘুম থেকে উঠেই মির্জা ফখরুল মার্কিন দূতাবাসে হাজির হয়ে নাশতা করতে যেতেন, রাতেও খুঁজে পাওয়া যেত না। এখন এ দিক-ও দিক কোনো দিক থেকে বন্ধুরা আগের মতো এসে তেমন উৎসাহিত করে না। বিদেশীরা ক্ষমতায় বসাবে সে কর্পূরও উড়ে গেছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ১৯ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও জুলুম চালাচ্ছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের মানসিক ট্রমা মনে হয় ভয়ঙ্কর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। তিনি ও তার দলের নেতারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তারা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ। তাদের এ দিকও নেই, ও দিকও নেই। তিনি বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ নাকি ক্ষমতা দখল করেছে! আওয়ামী লীগ ক্ষমতা অর্জন করেছে, দখল নয়। জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচনের পর পৃথিবীর অনেক দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

এ সময় সাবেক আইজিপি ও সাবেক সেনাপ্রধানের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। অপরাধের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। কোনো ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক অপরাধ অপকর্ম করতে পারে। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, এ ব্যাপারে তাদের অপরাধ-অপকর্মে শাস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সৎসাহস দেখিয়েছে কি না। শেখ হাসিনার সরকারের সে সৎসাহস আছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক স্বাধীন। সেখানে যদি কেউ অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয় আমরা কেন প্রটেকশন দিব? হোক সে সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধান। অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখে সমর্পণ করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে যাদের দণ্ড দেয়া হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগ। সরকার তাদের প্রটেকশন দিতে যায়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও সরকার কাউকে প্রটেকশন দেয়নি। ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কিন্তু সরকার তাকে প্রটেকশন কেন দেবে? আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখি। সে যতই প্রভাবশালী হোক অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সাধারণ নাগরিক জেল-জুলুম-হয়রানির মুখোমুখি হয়নি- এ তথ্য উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে তারা তো অপরাধী। তাদের বিএনপি হিসেবে আটক করা হয়নি। আটক করা হয়েছে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অপরাধে। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা অস্ত্রসহ আটকের পর তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খুনিদের পক্ষে বিএনপির যে প্র্যাকটিস এখনো সেটা করে যাচ্ছে। বিএনপির সব নেতাই বাইরে। তাহলে তাদের কে নির্যাতন করছে? আসলে বিএনপি পথ হারিয়ে পথহারা পথিকের মতো বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews