সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়াতে থাকে। ১৮ থেকে ২০ জুলাই—এই তিন দিনে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দিনে ২০ থেকে ২২ হাজার ফোনকল আসে। অন্য সময়ের তুলনায় গত কয়েক দিনে সহায়তা চেয়ে ও অভিযোগ জানিয়ে ফোন এসেছে প্রায় দ্বিগুণ। এ সময় অনেক জায়গায় বিক্ষোভ, সহিংসতা, ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে বা সহিংসতা হলে একই সঙ্গে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স—তিনটির জন্যই সহায়তা চাওয়া হয়।
জাতীয় জরুরি সেবার তথ্য অনুসারে, ৯৯৯ নম্বরে সহায়তা চেয়ে ২২ হাজার ফোন আসে ১৬ জুলাই। পরদিন তা ছিল ২৩ হাজারের বেশি। ১৮ জুলাই ফোনকল বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ হাজারে। এরপরের ৪ দিন কলের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। ১৯ জুলাই সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ফোনকল আসে। এরপর ২০ জুলাই ৪২ হাজার, ২১ জুলাই ৪৬ হাজার এবং ২২ জুলাই ৪৫ হাজারের বেশি ফোনকল আসে। পরদিন ২৩ জুলাই তা নেমে আসে ৩৭ হাজারে।