কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে নবগঠিত পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর নেতারা। তারা বলেছেন, এ কমিশন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। কারণ আওয়ামী লীগকে সরকারে রেখে যত ভালো লোক দিয়েই ইসি গঠন করা হোক না কেন এতে কোনো লাভ হবে না। এর মাধ্যমে দেশে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সম্ভব হবে না। কাজেই এ ইসিতে যাকেই নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন- এতে কিছুই আসে যায় না।
মির্জা ফখরুল : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নয়া ইসি ঘোষণার পর গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখনো পরিষ্কার করে বলছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সব তাদের নিজেদের লোকদের দিয়েই করবে। সুতরাং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আমাদের কাছে অর্থবহ নয়। তাই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহই নেই। আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় হচ্ছে- নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার।
মির্জা আব্বাস : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এসব কমিশন-টমিশন করে কোনো লাভ হবে না। ওই সমস্ত নির্বাচনে বিএনপি যাবেও না, করতেও দেবে না। আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে।কর্নেল (অব.) অলি : লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বলেন, সিইসি বা ইসির পদ কাকে দেওয়া হলো বা করা হলো তাতে কিছুই আসে যায় না। বিগত ১৫ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে পরোক্ষভাবে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের কোনো কার্যকারিতা নেই।
মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম : কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনে যারা নিযুক্ত হয়েছেন তাদের স্বাগত জানানোর কোনো অবকাশ নেই। কারণ আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- হয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা, না হয় প্রয়োজন- দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় সরকার গঠন।
মান্না : নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ ইসি নিয়ে আমাদের কোনো ‘ইন্টারেস্ট’ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে যদি সিইসি হন, আর সেক্ষেত্রে যদি অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকেন তাহলে তাঁকেও সেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কাজ করতে হবে। অর্থাৎ সরকারে যারা থাকবেন তাদের কথাই সিইসি বা ইসিকে শুনতে হবে। কাজেই এ সরকারকে ক্ষমতায় বহাল রেখে দেশে কখনোই কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।