গত অক্টোবর থেকে লড়াই তীব্র রূপ নেয়। প্রথমে শান রাজ্যের চীনা সীমান্ত এলাকার অনেক সেনাচৌকি দখল নেয় আরাকান আর্মি ও সহযোগী আরও দুটি দল নিয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। যুদ্ধ অনেক কাছে চলে আসে, যখন তারা বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে ভারতের মিজোরাম সীমান্তের পালেতোয়া শহর দখল করে। সবশেষে বাংলাদেশের তুমব্রু, আলীক্ষং সীমান্তের লাগোয়া অঞ্চলে শুরু হয়েছে লড়াই।
বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ চলমান সংঘাত নিরসনে বা দিক পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখবে, তা নিশ্চয় কেউ আশা করেন না। তাহলে কী করবে বাংলাদেশ?
প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন, বাংলাদেশকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। উসকানি যেমনই হোক না কেন, বাংলাদেশের তরফ থেকে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া চলবে না, যাতে মনে হতে পারে বাংলাদেশ কোনো এক পক্ষের হয়ে কাজ করছে। মিয়ানমারে আমাদের মূল স্বার্থ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো।
মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের চূড়ান্ত পরিণতি কী হবে, আমরা জানি না। তাই চলমান সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।