শিরোনামে উল্লিখিত বাক্যটি ধার করা। কয়েক বছর আগে ভারতের স্টার জলসা টিভি চ্যানেলটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’র ধারাবাহিক নাট্যরূপ প্রচার করেছিল। প্রচারিত ধারাবাহিকটির সঙ্গে আসল কপালকুণ্ডলার অনেকাংশেই মিল ছিল না। থাকার কথাও নয়। পর্ব সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে চিত্রনাট্যকারকে উপন্যাসে বর্ণিত চরিত্রের বাইরেও বেশ কিছু চরিত্রের সমাহার ঘটাতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কপালকুণ্ডলা ধারাবাহিক নাটকটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকে চিত্রনাট্যকার সংযোজন করেছিলেন ‘জেঠিমা’ নামের একটি বিশেষ চরিত্র। তিনি উপন্যাসের মূল নায়ক নবকুমারের জেঠি। রাশভারী এই মহিলা কথা শুরুর আগেই বলতেন, ‘পষ্ট কথায় কষ্ট নাই’। অর্থাৎ স্পষ্ট কথায় কারও কষ্ট পাওয়া উচিত নয় বা কেউ কষ্ট পেলেও কিছু যায় আসে না। এই পষ্ট বা স্পষ্ট কথাকে আমরা সত্য বা উচিত কথার প্রতিরূপ ধরে নিতে পারি।

কপালকুণ্ডলা ধারাবাহিক নাটকে জেঠিমা যতই বলুন পষ্ট কথায় কষ্ট নাই, আসলে স্পষ্ট কথায়ই কষ্ট বেশি। আর এ জন্যই মানুষ বেশির ভাগ সময় স্পষ্ট করে কিছু বলতে চায় না। চোখের সামনে সংঘটিত ঘটনার বিবরণ দিতে গেলেও আমতা আমতা করে। চেষ্টা করে আসল সত্যটি এড়িয়ে যেতে। পাছে নিজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, কিংবা ঘটনার যিনি নায়ক বা খলনায়ক তিনি রুষ্ট হন, এ আশঙ্কায়। আর সে নায়ক বা খলনায়ক যদি হন সমাজের কোনো কেউকেটা বা ক্ষমতাধর তাহলে কেউ আর মুখ খুলতেই সাহসী হয় না। চোখের সামনে দেখা ঘটনাকে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে। না পারলে নিজেকে বাঁচিয়ে যতটুকু বলা যায়, ততটুকু বলে। তাহলে কি সমাজে সত্য বলার মতো কেউ নেই? আছে, অবশ্যই আছে। তবে তারা সংখ্যালঘিষ্ঠ। ক্ষমতা ও শক্তির বিচারেও ক্ষুদ্র। যেখানে চারদিকে অসত্য আর অন্যায্যের রাজত্ব, সেখানে সত্য কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে? সত্যবাদী কিংবা সত্যভাষী যারা আছেন, তারা ঘরের কোণে মুখ গুঁজে পড়ে থাকেন, ঘটমান নানাবিধ অন্যায়-অনাচার দেখে ভিতরে ভিতরে দংশিত হন, আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। ধরুন একটি এলাকায় কোনো এক নিরীহ ভদ্রলোককে অপদস্থ করেছে কোনো এক রংবাজ। তার গায়ে আছে ক্ষমতাসীন দলের জার্সি। জনসমক্ষে সে ঘটনাটি ঘটলেও তার কোনো সাক্ষী পাওয়া যাবে না। কারণ সেই একই। পাছে নিজে বিপদে পড়ি! কবি কামিনী রায় তাঁর ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় লিখেছেন- ‘করিতে পারিনা কাজ, সদা ভয় সদা লাজ, সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে!’ কী নির্মম সত্য উচ্চারণ আমাদের মানসিকতা সম্বন্ধে! এ পাছে লোকে কিছু বলে ভাবনা বা সন্দেহ-সংশয় সব সময় আমাদের সংকল্পচ্যুত করে, সত্য বা স্পষ্ট উচ্চারণে বিরত রাখে।

তাঁরা সব সময় সরকারপ্রধানের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত থাকতেন। তাঁর সংবাদ সম্মেলনগুলোতে এই মোসাহেবির চূড়ান্ত দেখা যেত। তাঁরা এমনভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘বাক্য-তৈল’ মর্দন করতেন যে বাস্তবে অমনটি করলে হয়তো তাঁর শরীর বাইম মাছের চেয়েও পিচ্ছিল হয়ে যেত।



সেই ছেলেবেলা থেকে ‘সদা সত্য কথা বলিবে’ আপ্তবাক্যটি শুনে আসছি। একটা সময় ছিল, মানুষ সত্য উচ্চারণে তেমন দ্বিধা করত না। তখন ছিল ন্যায়বিচারের যুগ। এখন সময় পাল্টেছে। সত্যের রাজত্ব ক্ষয়িষ্ণু হতে হতে এখন ডাইনোসরের মতো প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। কেউ আর সত্য উচ্চারণ করতে চায় না। বরং সত্যকে এড়িয়ে বা মাটিচাপা দিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখতেই বেশি আগ্রহী। সাংবাদিকরা সত্য বলেন বা লেখেন, এমন একটি ধারণা আমাদের সমাজে বেশ আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সেখানেও অসত্যের থাবা পড়েছে বেশ ভালোভাবেই। সাংবাদিকরাও এখন সব সময় সত্য প্রকাশে সাহসী হন না। কারণ তারাও তো রক্ত-মাংসের মানুষ। তদুপরি বাস করেন এ সমাজেই; যেখানে দুর্বৃত্তদের প্রবল দাপট। একসময় সাংবাদিকরা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজেদের জীবন বাজি রাখতেন। অন্যায়-অনাচারকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে সত্য কথা স্পষ্ট করে উচ্চারণ অর্থাৎ সংবাদপত্রের পৃষ্ঠায় তুলে ধরতে পিছপা হতেন না। এখন তেমনটি করতে অনেকেই সাহস পান না।

আমাদের যাঁরা প্রাতঃস্মরণীয় সাংবাদিক ছিলেন, তাঁরা সত্য উচ্চারণে দ্বিধান্বিত হননি। কেননা তাঁরা আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন সাহসী ও স্পষ্টভাষী। তারপরও তাঁরা অনেক সময় সত্য উচ্চারণের সুবিধার্থে আত্মপরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। প্রথিতযশা সাংবাদিক খোন্দকার আবদুল হামিদ কলাম লিখতেন ‘স্পষ্টভাষী’ ছদ্মনামে। দৈনিক ইত্তেফাকে তাঁর কলামের শিরোনাম ছিল ‘মঞ্চে-নেপথ্যে’। কলেজছাত্র থাকা অবস্থায় তাঁর সেই বিখ্যাত কলাম পড়তাম বুভুক্ষের মতো। কী স্পষ্টবাদিতা, কী সাহস! স্পষ্টভাষীর নাম যে খোন্দকার আবদুল হামিদ, এটা জেনেছিলাম তিনি যখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কেবিনেটে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন তখন। মন্ত্রিত্ব শেষে তিনি যখন সক্রিয় সাংবাদিকতা থেকে অবসরে গেলেন তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত ও প্রথিতযশা সম্পাদক সানাউল্লাহ নূরী সম্পাদিত লুপ্ত ‘দৈনিক দেশ’-এ লিখতেন ‘স্পষ্টভাষীর কলাম’। ষাটের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত অনেক স্বনামধন্য সাংবাদিকের কলাম পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাঁরা ওগুলো লিখতেন ছদ্মনামেই। এ ট্রেন্ডটি চালু হয়েছিল বহুকাল আগেই। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তাঁর সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাকে কলাম লিখতেন ‘মোসাফির’ ছদ্মনামে। কলামের নাম ছিল ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’। দৈনিক ইত্তেফাকের আরও একটি প্রসিদ্ধ কলাম ছিল ‘স্থান-কাল-পাত্র। লিখতেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আখতার-উল আলম ‘লুব্ধক’ ছদ্মনামে। ‘অভাজন’ ছদ্মনামে আবেদ খান লিখতেন ‘নিবেদন ইতি’। এ ছাড়া সাংবাদিক-সাহিত্যিক রাহাত খানের ‘চতুরঙ্গ’ পাঠক সমাদৃত কলাম ছিল। তিনি ব্যবহার করতেন ‘সুহৃদ’ ছদ্মনাম। হাবিবুর রহমান মিলনের কলামের নাম ছিল ‘ঘরে-বাইরে’, আর তিনি ব্যবহার করতেন ‘সন্ধানী’ ছদ্মনামটি। কবি মহাদেব সাহা লিখতেন ‘প্রিয়-অপ্রিয়’ কলামটি ‘সত্যদর্শী’ ছদ্মনামে। ওই সময়ের আরেক প্রসিদ্ধ সংবাদপত্র দৈনিক সংবাদে কলাম লিখতেন বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। আবু জাফর শামসুদ্দিন (অল্পদর্শী), সন্তোষগুপ্ত (অনিরুদ্ধ), জহুর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ সাংবাদিক-কলামিস্টের কলাম পাঠকদের পাঠ-তৃষ্ণা মেটাত। তন্মধ্যে জহুর হোসেন চৌধুরীর নিয়মিত কলাম ‘দরবার-ই-জহুর’ ছিল পত্রিকা পাঠকদের জন্য রসের ভাণ্ড। জহুর সাহেব কৌতূকচ্ছলে তির্যক বাক্য ব্যবহার করে এমন সব মন্তব্য করতেন যে সরকারের ব্রহ্মতালু গরম হওয়ার জোগাড় হতো। দৈনিক বাংলার বিখ্যাত কলামগুলোর মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক নির্মল সেন লিখতেন ‘অনিকেত’ ছদ্মনামে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে দেশের আইনশৃঙ্খলাহীনতা ও পিটিয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে তিনি লিখেছিলেন তাঁর সেই বিখ্যাত কলাম-‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।’ কেউ কেউ বলেন, নির্মল সেন যদি তাঁর জীবনে আর কোনো কলাম না-ও লিখতেন, ওই একটি কলামই তাঁকে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে অমর করে রাখত। আহমেদ হুমায়ুন (পরে সম্পাদক) লিখতেন ‘সুপান্থ’ নামে। তাঁর কলামের ‘ঢাকাই লিমেরিক’ এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে লোকের মুখে মুখে ফিরত। খোন্দকার আলী আশরাফের কলাম ‘দুর্জন উবাচ’ ওই সময়ের পাঠক যাঁরা এখনো বেঁচে আছেন, তাঁদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। এসব কলামে লেখকদের নাম প্রকাশ্যে না থাকলেও পাঠকপ্রিয়তা অর্জনের ক্ষেত্রে তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

এই যে নামিদামি সাংবাদিক-কলামিস্টরা নিজেদের পরিচয় গোপন করে কলাম লিখতেন তার অন্তর্নিহিত কারণ শাসকের রক্তচক্ষু থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখা। তা সত্ত্বেও অনেক সময় সাংবাদিকরা শাসকের হাত থেকে রেহাই পেতেন না। তাদের যেতে হতো কারাগারে। সাংবাদিক নির্যাতন-দলন বহুকাল আগে থেকেই চলে আসছিল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের শৃঙ্খলিত করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ১৯৬৩ সালে জারি করেন ‘মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যাদেশ’ (প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্স)। ওই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তানের উভয় অংশের সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ, ন্যাপসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, এর ঠিক ১০ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশে যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, ওই অধ্যাদেশটি পরিপূর্ণ আইনে পরিণত হয় ‘প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট ১৯৭৩’ নামে। মানে দেশের স্বাধীনতা এলেও সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রয়ে গেল সোনার হরিণ হয়ে।

আর বর্তমানে সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু রয়েছে তা যত কম বলা যায় ততই ভালো। বিগত ১৫ বছরের যে মুদ্দত আমরা পার করে এলাম, দেশের সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কী অবস্থা ছিল? সংবাদপত্রে কলাম লিখতে হতো সরকারপ্রধানের প্রশংসা করে। কয়েকটি পত্রিকা থেকে তো আমাকে রীতিমতো গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী (বর্তমানে পলাতক) শেখ হাসিনার কোনো সমালোচনা করা যাবে না, তিনি যত বড় অন্যায় বা ভুলই করুন না কেন। তা সত্ত্বেও যাঁরা আড়েঠারে কিছু বলার চেষ্টা করতেন, তাঁদের জন্য চায়ের দাওয়াত আসত কচুক্ষেত থেকে। ওখান থেকে যাঁরা ফিরে আসতেন তাঁদের লেখার স্পৃহা হারিয়ে যেত।

গত আমলে আবার একশ্রেণির হাত কচলানো সাংবাদিকের উদয় হয়েছিল। তাঁরা সব সময় সরকারপ্রধানের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত থাকতেন। তাঁর সংবাদ সম্মেলনগুলোতে এই মোসাহেবির চূড়ান্ত দেখা যেত। তাঁরা এমনভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘বাক্য-তৈল’ মর্দন করতেন যে বাস্তবে অমনটি করলে হয়তো তাঁর শরীর বাইম মাছের চেয়েও পিচ্ছিল হয়ে যেত। একজন তো একদিন বলেই ফেললেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ধীরে ধীরে উপরে উঠে যাচ্ছেন। এতে আমার খুশি, আবার সেই সঙ্গে ভয়ও হয় আপনাকে আমরা হারিয়ে ফেলি কি না। আপনি বিশ্বনেত্রী হয়ে উঠছেন। বিশ্বমিডিয়া আপনাকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ যাঁকে উদ্দেশ করে ওই সাংবাদিক কথাগুলো বলেছিলেন, তিনি আজ সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের মিডিয়া থেকে হারিয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে ওই সাংবাদিকও।

কপালকুণ্ডলার নায়ক নবকুমারের জেঠিমা যতই বলুন ‘পষ্ট কথায় কষ্ট নাই’, আসলে কিন্তু পষ্ট (স্পষ্ট) কথায়ই কষ্ট বেশি। যার সম্পর্কে তা বলা হয়, তিনি যেমন কষ্ট পান, যিনি বলেন তিনিও কষ্ট পান। তবে দুটি কষ্ট দুই রকমের। যার সম্বন্ধে বলা হয় তিনি কষ্ট পেয়ে ক্ষেপে ওঠেন, আর যিনি বলেন তিনি হন হেনস্তার শিকার। এ জন্যই এখন আর কেউ সহজে স্পষ্ট কথা বলেন না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন- ‘সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায় না বলা সহজে।’ এখানে সহজের জায়গায় যদি ‘সত্য’ বা ‘স্পষ্ট’ কথাকে বসিয়ে দিই, তাহলে ভাবার্থে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে হয় না। নানা কারণে যেমন সত্য কথা স্পষ্ট করে বলা যায় না, চেপে রাখতে হয়, তেমনি সহজ কথাটিও সহজে মুখ থেকে নির্গত করা যায় না। রবিঠাকুরের সময় থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষ পৌঁছে গেছে মহাশূন্যে। কিন্তু সহজ কথা সহজে বলা বা সত্যকে স্পষ্ট করে উচ্চারণের ক্ষেত্রে বাধার বিন্ধ্যাচল রয়ে গেছে আগের মতোই। কবে তা অপসারিত হবে কিংবা আদৌ হবে কি না, কে জানে?

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews