সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেডআই) খান পান্নাকে ‘খণ্ডকালীন দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পান্নার সমালোচনা করে মারুফ কামাল বলেন, আমরা কখনো খণ্ডকালীন দেশপ্রেমিক সাজি। তারপর মুখোশ খুলে নিজের আসল চেহারাটা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি। উদাহরণ: ‘জেঠায় খান পাক্না’ এবং আরও অনেকে।
তিনি আরও বলেন, পলাতক আসামির কাউকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগের সুযোগ আইনে নাই। রাষ্ট্র তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে। হাসিনা দেশে ফিরে মামলা লড়তে চাইলে তিনি তার পক্ষে কাকে আইনজীবী নিয়োগ করবেন সেটা তার অধিকার। এখন কেউ যদি নিজেই বলে আমি হাসিনার পক্ষে মামলা লড়ব সেটা আত্মমর্যাদার পরিপন্থি। এটা গলায় ‘আমাকে ব্যবহার করুন’ সাইনবোর্ড ঝুলাবার মতো ব্যাপার’।
মারুফ কামালের স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে আরও অনেকেই পান্নার সমালোচনা করেছেন। অনেকেই তার বার লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
করিম চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের কোনো আইনজীবীর শেখ হাসিনা বা তার দলের অপরাধীদের পক্ষে দাঁড়ানো উচিৎ নয়। অপরাধীদের পক্ষে যারা দাঁড়াবে তারাও অপরাধী’।
পান্নাকে ‘ভারতীয় চর’ উল্লেখ করে আজাদুল ইসলাম নামে এক নেটিজেন বলেন, এ কোনো দেশপ্রেমিক না। এ ভারতীয় চর। হাসিনাকে নিয়ে যে কথা বলবে তাকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। এই খান্নাকে ২৪ জুলাই ভারতীয় দালাল বলে ছিলেন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান।
পান্নার বার লাইসেন্স বাতিল হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন সবুজ নামের এক ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইনজীবী পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।
মামলা হওয়ার মাসখানেক পর গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে পান্না জানান, সুযোগ থাকলে বা সৃষ্টি হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তিনি আইনি লড়াই করতে চান। তার এমন বক্তব্য প্রকাশের পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠে।