বিয়েবাড়িতে হলুদ চন্দনের কদর তো সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রসিদ্ধ। মূলত ত্বকের জেল্লা বাড়াতে হলুদ কিংবা চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের কোনো সমস্যা কিংবা পোঁড়ার চিকিৎসায় বাঙালী নারীরা সবার আগে রান্নাঘরে হলুদ বাটার অনুসন্ধানে ব্যস্ত হন। হলুদের অনেক গুণাগুণ আছে। কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে নানা সমস্যাও হতে পারে। র্যাশ থেকে শুরু করে নানা ধরণের সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিকভাবে হলুদ ব্যবহার করতে হবে। আসুন জেনে নেই সঠিকভাবে হলুদ ব্যবহারের কিছু পদ্ধতি:
হলুদের ফেস প্যাক
হলুদ ব্যবহার করে ফেস প্যাক বানানো যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না কিসের সঙ্গে হলুদ মেশাবেন। সচরাচর দই, হলুদ বা চন্দন মিশিয়ে সহজেই ফেস প্যাক বানানো যায়। এদিকে অনেকেই বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে একটা জগাখিচুড়ি বানিয়ে ফেলেন। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি তো জানবেন না কোন উপাদান কিভাবে আপনার ত্বকে প্রভাব ফেলছে।
কতক্ষণ ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন?
অনেকে ভাবেন যত বেশিক্ষণ হলুদ লাগিয়ে রাখা যায় ততই ভালো। ব্যাপারটা মোটেও এমন না। বেশিক্ষণ হলুদ লাগিয়ে রাখলে ত্বকে হলদে দাগ পড়তে পারে। ১০-২০ মিনিটের বেশি হলুদ লাগিয়ে রাখা উচিত না। নির্ধারিত সময়ের পরে পানি দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
মুখ ভালোমতো ধুয়ে নিন
অনেকেই ফেসপ্যাক ভালোমতো পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন না। আগেই বলেছি, ত্বকে বেশিক্ষণ হলুদ লাগিয়ে রাখলে র্যাঁশ বের হতে পারে।
ত্বকে সমানভাবে ফেসপ্যাক লাগান
অনেকেই তাড়াহুড়োয় ফেসপ্যাক সমানভাবে লাগান না। এতে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় হলুদ ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়। তাই সময় নিয়ে আস্তে আস্তে পুরো ত্বকে সমানভাবে ফেসপ্যাক লেপে নিন।
সাবান দিয়ে ফেসপ্যাক তোলা
অনেকেই ফেসপ্যাকের দাগ তুলতে সাবান ব্যবহার করেন। এমনটা করা উচিত না। ফেসপ্যাক লাগানোর অন্তত ১২ ঘণ্টা পর ত্বকে সাবান লাগাবেন। নাহলে ফেসপ্যাকের কোনো উপকার পাবেন না।
ইত্তেফাক/এআই