জমিদার বাড়ির প্রবেশমুখে আছে একটি তোরণ। তোরণের নির্মাণশৈলীও অপূর্ব। সেটির সামনে দাঁড়ালেই নজরে পড়ে মসজিদটি। মসজিদের উপরে তিনটি গম্বুজ। নির্মাণের সময় ছাদে ১৬টি বিভিন্ন নকশার মিনার ছিল। তবে ১৯৬৫ সালে মসজিদের ১১টি মিনার ভেঙে পড়ে। সেসময় জমিদার বাড়ির লোকজন সেসব মিনার সংস্কার করেন। তবে তিনটি সম্পূর্ণ আর একটি মিনারের অর্ধেক অংশ এখনো ভাঙা অবস্থায় আছে। ছাদের প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৩৫ ফুট। গম্বুজ আর মিনার মসজিদটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। অন্যান্য মসজিদে সচরাচর এত মিনার দেখা যায় না।
মসজিদটিতে ঘুরে দেখা গেছে, এটি চার অংশে ভাগ করা। চার থামের ওপর ছাদবিশিষ্ট প্রবেশপথ, মূল কক্ষ, মূল কক্ষের সঙ্গে ছাদসহ বারান্দা ও উপরিভাগ উন্মুক্ত। প্রবেশ পথে চার থামের ওপর ছাদ বিশিষ্ট মূল দরজা। ছাদের চার কোনায় আছে নকশা করা চারটি ক্ষুদ্রাকৃতির মিনার। খিলান আকারের প্রবেশপথের সিঁড়ি বেয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।