মে মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সফর নিয়ে বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল লক্ষণীয় রকম হিসাবি। পুতিন যখন বলছেন যে শি তাঁর ‘ভাইয়ের মতো ঘনিষ্ঠ’, তখন শির প্রতিক্রিয়া ছিল কেমন ভাসা–ভাসা। তিনি পুতিনকে বললেন ‘ভালো বন্ধু ও একজন ভালো প্রতিবেশী’।
বিশ্লেষকেরা রাশিয়ায় চীনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ সম্পর্কে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। আর তা প্রকাশ্যেই।
সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটির চীনা নিরাপত্তাকৌশলের একজন শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত ডিং লি বলেছেন, চীন ইউক্রেন বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিগ্রহে রাশিয়ার সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হতে চায় না।
ডিং লি ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ফু কংয়েরও উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব কথার অলংকার ছাড়া আর কিছুই নয়।
আগস্টে সুদূর পূর্ব রাশিয়া সফরের সময় পুতিন চীনকে ‘মিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এরপর চীনা পণ্ডিতেরা অবিলম্বে এই বিবৃতি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছিলেন। চীনের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক জোট যে নেই, এ কথাই তাঁরা স্পষ্ট করতে চাইছিলেন।
এই চীনা পণ্ডিতদের বিবৃতি কিন্তু কেবল কথার কথা নয়। সরকার-অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নেতৃস্থানীয় চীনা পণ্ডিতেরা সরকারের অবস্থান ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য প্রচারক হিসেবে কাজ করেন। ফলে তাদের কথা বেইজিংয়ের কৌশলগত মানসিকতার প্রতিফলন হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।