এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় অন্যতম ব্যস্ত সঙ্গীতশিল্পী তাসনিম আনিকা। এই প্রজন্মের যতো সঙ্গীতশিল্পী আছেন তার মধ্যে সম্ভবত আনিকাই চারটি ভাষায় নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তিনি একাধারে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ও আরবি ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন। বিশেষত স্টেজ শোতে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, তার সুরেলা মিষ্টি কণ্ঠ ও কয়েকটি ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারার কারণে তার সমসাময়িক কালের অনেক শিল্পীর চেয়ে স্টেজ শো’তে তার চাহিদাটা অনেক বেশি। যে কারণে আগামী ঈদে যেখানে তার সমসাময়িক অনেক শিল্পীর স্টেজ শোর তারিখ চূড়ান্ত না হলেও ঈদের পরপরই তাসনিম আনিকার বেশ কয়েকটি স্টেজ শোর সিডিউল লকড হয়ে আছে। রোজা শুরু হবার আগেই যেমন তার স্টেজ শো’তে পুরোদমে ব্যস্ততা ছিল, ঈদের পরপরই সেই একই ব্যস্ততা শুরু হতে যাচ্ছে তাসনিম আনিকার। এদিকে আজ তাসনিম আনিকার জন্মদিন। একজন রহস্যময় মানব ছাড়া বাকি সবাই তার জন্মদিনে থাকবেন। আনিকা জানেন যে বরাবরের মতোই তার জন্মদিনকে ঘিরে পরিবার, বন্ধুবান্ধব নানান ধরনের আয়োজন করছে। থাকছে বিভিন্ন ধরনের সারপ্রাইজ। তবে সেসব সারপ্রাইজ কী, কখন, কোথায়, কীভাবে হবে তার কিছুই জানেন না তিনি। তবে জন্মদিনের প্রথম প্রহরটা তিনি বাবা মায়ের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। তাসনিম আনিকার বাবা মঈন উদ্দিন আহমেদ একসময় ব্যান্ড সঙ্গীতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যান্ড দলের ভোকালিস্ট ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই মূলত আনিকার গানের অনুপ্রেরণা পাওয়া। মা চট্টগ্রামের সাউথ পয়েন্ট স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তাসনিয়া নওশীন আনিকার একমাত্র ছোট বোন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড’র আইটি ডিপার্টম্যান্ট চাকরি করছেন। বাবা, মা আর ছোট বোনকে নিয়েই আনিকার পৃথিবী। যে কারণে জন্মদিনের মূল যে আয়োজন তা তার পরিবারকে ঘিরেই। এদিকে আগামী ঈদের পর আনিকার বেশ কিছু নতুন গান প্রকাশ হবার কথা রয়েছে। রোজার সময়টা নিজেকে সময় দিচ্ছেন তিনি। কারণ স্টেজ শো শুরু হয়েগেলে ন্যূনতম বিশ্রাম করার সুযোগটাও মেলে না তার। আনিকা বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাকে সুস্থ রেখেছেন ভালো রেখেছেন এবং আমাকে একটি সুন্দর সুখী পরিবারের মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যে পরিবারকে নিয়ে আমি ভীষণ গর্ব করতে পারি। আমার আব্বু আমার গানের অনুপ্রেরণা, আর আমার আম্মু আগামী দিনের পথচলায় সফলতার সাহস। জন্মদিনে সবার কাছে দোয়া চাই যেন আগামীতে কিছু ভালো মৌলিক গান দর্শক শ্রোতার জন্য করতে পারি এবং স্টেজ শো’তে যেন আমার ভক্ত দর্শককে মনের মতো করে গান শোনাতে পারি।’ আনিকার ভক্ত শ্রোতারা সাধারণত ইয়ং জেনারেশনের।