চাহিদা কমে যাওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “বাজারে প্রচুর ভারতীয় চিনি আসছে অবৈধভাবে। সেই কারণে এখন সরবরাহ সংকটটা ওভাবে বোঝা যাচ্ছে না। যারা মিল থেকে চিনি কিনে নিয়ম মাফিক ব্যবসা করছেন তারা চাপে আছেন, লোকসান দিতে হচ্ছে।”
সিটি গ্রুপের বিপণন বিভাগের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিনি শিল্পে এখন কাঁচামালের সংকট আছে। ডলারের অভাবে সময় মতো এলসি খোলা যাচ্ছে না। সরকার দাম যাই নির্ধারণ করুক না কেন, গত এক মাসে ডলারের দাম ১১৭ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫ টাকা হয়েছে। আমাদেরকে এই দরেই কিনতে হচ্ছে।
“আবার গত এক মাসে ব্রাজিলে অপরিশোধিত চিনির দাম ৬২০ ডলার থেকে বেড়ে গিয়ে ৬৮০ ডলারে উঠেছে।”
ডলারের দরের ঊর্ধ্বগতির কারণে শতভাগ এলসি মার্জিন এখন ১২০ শতাংশে পৌঁছে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ ১১৪ টাকায় এলসি চালু করার দুই মাস পর বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর পর দেখা গেলো খোলা বাজারে ডলারের চলতি দর ১২০ টাকা। তখন কাগজে কলমে ১১৪ টাকা হলেও পরিশোধ করতে হচ্ছে ১২০ টাকা করে।”
আমদানির সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এসব কারণে কোম্পানিগুলো অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতিতে গেছেন যার ফলে কাঁচামাল সংকট দেখা দিয়েছে।