মার্কিন নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল সুইং স্টেটগুলো (দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য)। অর্থাৎ যারাই এ অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভালো করবেন তারাই মার্কিন নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে থাকবেন। মঙ্গলবারের মার্কিন নির্বাচনেও তাই হলো। অঙ্গরাজ্যগুলো কমলার হাত ছাড়া হওয়ায় তিনি মূলত ভোটে হেরে গেলেন। এ ছাড়া আরব-আমেরিকান, মুসলিমদের ভোট ও তরুণদের ভোটও কমলা হ্যারিস সুবিধা করতে না পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল। এদিকে নির্বাচনে হারার পর ভোটারদের উদ্দেশেও গতকাল কোনো বক্তব্য দেননি তিনি। অন্যদিকে ফলাফলের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যসহ সবকটি সুইং স্টেটে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে সাতটি অঙ্গরাজ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তার অন্যতম হচ্ছে এই জর্জিয়া। এতে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের হোয়াইট হাউস দখলের পথ আরও সরু হয়ে গেল। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন, বিবিসি ও আলজাজিরা।
ভোটারদের উদ্দেশে কোনো বক্তব্য দেননি কমলা : যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক অঙ্গরাজ্যের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যত প্রকাশ হচ্ছে, ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী এবং দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জয়ের আশা। এ অবস্থায় গতকাল রাতে ভোটারদের উদ্দেশে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে আজ তিনি কথা বলবেন। কমলা হ্যারিসের প্রচারণা টিমের কো-চেয়ারম্যান ক্যাড্রিক রিচমন্ড সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটদের ওপর বিরক্ত মুসলিম ভোটাররা : যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের আগে ইসরায়েলের গাজায় হামলা ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন নিয়ে হতাশ অনেক আরব ও মুসলিম আমেরিকান ভোটার যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে বিকল্প খুঁজছেন। তবে এ সম্প্রদায়ের একাংশ এখন রিপাবলিকান পার্টির দিকে ঝুঁকছেন এক ভিন্ন কারণে- ডেমোক্র্যাটদের ‘লিঙ্গ মতবাদ’ এবং স্কুলে শিশুদের ‘বিপথগামী শিক্ষাদান’।