রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আয়ে আঘাত হানতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা কিয়েভ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য কৌশলগত সুবিধা তৈরি করবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার জ্বালানি খাত দেশটির যুদ্ধে অর্থায়নের সবচেয়ে বড় রাজস্ব উৎস, সেটিকে লক্ষ্য করেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় রুশ কোম্পানি গ্যাজপ্রম নেফট, সারগুটনেফতেগ্যাস এবং ১৮৩টি তেলবাহী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব জাহাজ রুশ তেল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যার বেশিরভাগই এশিয়ার বাজারে পাঠানো হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার তেল উৎপাদন এবং সরবরাহের প্রতিটি ধাপকে লক্ষ্য করেছে। এর ফলে রাশিয়া মাসিক কয়েক বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব হারাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত তাদের জ্বালানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তবে রুশ তেলের প্রধান ক্রেতা ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্যাজপ্রম নেফট এই নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায্য ও অবৈধ বলে অভিহিত করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার আগে বৈশ্বিক তেলের দাম ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৮০ ডলারে পৌঁছে যায়।

বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে এই সপ্তাহে ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান সহায়তা অন্তর্ভুক্ত।

নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে রুশ মুদ্রা রুবলের মান উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়েছে এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিগত সুদের হার ২০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তী প্রশাসনের ওপরই নির্ভর করছে, তারা কখন এবং কী শর্তে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য এমন কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন যা ইউক্রেনের বৃহৎ অংশকে রাশিয়ার হাতে ছাড়ার শর্তে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কিয়েভ।

নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করতে হলে কংগ্রেসকে জানাতে হবে এবং কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রিপাবলিকান সদস্য এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপে বাইডেন প্রশাসনকে উৎসাহিত করেছিলেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews