আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেছেন, মানব সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে শরীয়াহ্র মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন অপরিহার্য। আজকের পৃথিবীতে যখন আমরা চরম সামাজিক বৈষম্য, নৈতিক অবক্ষয় ও মানবিক সঙ্কটে পড়েছি, তখন ইসলামের কল্যাণমুখী দর্শন-মাকাসিদুশ শরীয়াহ একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের পথ দেখাতে পারে। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী আরও বলেন, শরীয়াহ কেবল ফিকহি বিধান নয়, বরং এটি একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণের নির্দেশনা। আমরা যদি শরীয়াহ মাকাসিদের আলোকে শিক্ষা, প্রশাসন, পরিবার ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি, তবে আমাদের সমাজে ভারসাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।
গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার হলে হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ আয়োজিত “মাকাসিদুশ শরীয়াহ: জনকল্যাণের একটি সার্বজনীন কাঠামো” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাদিস বিভাগের লেকচারার ড. আবু তালিব মো. মনোয়ার। তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, শরীয়াহ মাকাসিদ কেবল ধর্মীয় অনুশাসন নয়, বরং এটি একটি সমাজকল্যাণমুখী কাঠামো। এর মূল লক্ষ্য হলো কল্যাণকর সবকিছু অর্জন এবং ক্ষতিকর সবকিছু পরিহার করে মানুষের ইহকাল ও পরকালের সাফল্য নিশ্চিত করা। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষত মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শরীয়াহ মাকাসিদকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর আহসান উল্লাহ এবং শরীয়াহ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রশীদ জাহেদ। বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন প্রফেসর ড. নাজমুল হক নাদভী এবং প্রফেসর ড. বি. এম. মফিজুর রহমান আল আজহারী। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন হাদিস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার লক্ষ্য কেবল পেশাগত দক্ষতা নয়, বরং এমন মানুষ তৈরি করা যারা নৈতিকতা, ন্যায় ও কল্যাণে বিশ্বাসী।
শরীয়াহ মাকাসিদ সেই পথনির্দেশনা দেয়। তাই এর বাস্তবায়ন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘মাকাসিদুশ শরীয়াহ: জনকল্যাণের একটি সার্বজনীন কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী একথা বলেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।