রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে করোনা পজেটিভ ৫ জন এবং করোনার উপসর্গে ৮ জন মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে চলতি জুলাই মাসের ৩১ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৬৬ জনে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৮৪ জন। শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৪৪ জন। বাকি ৩৮ জন মারা যান করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায়। এছাড়া সবচেয়ে বেশি মারা যান ১৪ জুলাই ২৫ জন এবং সবচেয়ে কম মারা যান ৪ জুলাই ১২ জন। এর আগে গত জুন মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গে মারা যান ৪০৫ জন।
রামেক পরিচালক জানান, নতুন মৃতদের রাজশাহীর ৩ (উপসর্গে) জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ (পজেটিভ) জন, নাটোরের ১ (পজেটিভ) জন, নওগাঁর ৩ (পজেটিভ ২, উপসর্গ ২) জন ও পাবনার ৫ (পজেটিভ ২, উপসর্গ ৩) জন। তিনি বলেন, আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড বেডের বিপরীতে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪৩৩ জন। এদিন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন।
পরিচালক আরও জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪৩৩ জনের মধ্যে ১৮৮ জনের করোনা পজেটিভ রয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৮ জন। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ইনফেকশনসহ পরবর্তি শারীরিক জটিলাতার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৭ জন।
তিনি উল্রেখ করেন, শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি ল্যাব এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৪৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ এসেছে ১০০ জনের। রামেক ভাইরোলজি ল্যাবে রাজশাহীর ১০৮ জনের নমুনায় ৩১ জনের এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৭৩ জনের নমুনায় ২৮ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
রামেক হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনায় ৪১ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। রাজশাহীতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৪.৩২ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৬.১৮ শতাংশ।
ইত্তেফাক/কেকে