রংপুর মহানগরের গণেশপুরের বকুলতলা জান্নাতবাগ মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনায় এক শিক্ষক ও এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগ এনে শিশুটির বাবা কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ ও মৃতের অভিভাবকসূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বুজরুকঝালাই গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মনোয়ার হোসেন ভ্ট্টুুর ছেলে সিয়াম (১০) গত ৭ নভেম্বর রংপুরের ওই মাদরাসাটিতে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার মাগরিবের সময় অন্য শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়তে এলেও সিয়াম আসেনি। খোঁজাখুঁজির পর রাত ৯টার দিকে মাদরাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষে সিয়ামের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তাকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ আবদুর রহমান নামে এক শিক্ষক ও মোকলেছ নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃতের বাবা মনোয়ার হোসেন ভ্ট্টুু বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার সময় ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। ছেলে বলেছিল শুক্রবার ১১টার সময় এসো। একসঙ্গে জুমা আদায় করব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মাদরাসা থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় আপনার ছেলে অসুস্থ। তাকে মেডিকেলে ভর্তি করতে হবে। আমি মাদরাসায় গিয়ে ছেলের লাশ দেখি।’ তিনি দ্রুত ছেলে হত্যার বিচার চান। কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা মামলা করেছেন। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদরাসার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘৃণ্য কাজে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’