সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক মিত্রতা স্থাপন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসারায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনামিন নেতানিয়াহু।
বাইডেনকে তিনি জানান, তার দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিত্রতা স্থাপনের জন্য প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে হবে।
বুধবার নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু।বৈঠকে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট, আপনার নেতৃত্বে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের একটি ঐতিহাসিক মিত্রতার জন্য আমরা এগিয়ে যেতে পারি। এ ব্যাপরে ইসরায়েল প্রস্তুত।”
সৌদি আরব অবশ্য আগে জানিয়েছিল যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সুরাহা হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি বা কোনো প্রকার মিত্রতা স্থাপন করবে না। তবে সম্প্রতি এই ইস্যুতে খানিকটা নমনীয় হয়েছে সৌদি।
সৌদি আরব যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অনেকটাই কাছে তার দেশ। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশই সৌদির পথেই হাঁটছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “প্রত্যেক দিন আমরা আরো কাছে যাচ্ছি।”
এসময় ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ। তিনি জানিয়েছেন, তারা দেখেশুনেই আগাচ্ছেন এবং তাদের এই যাত্রা সফল হলে ফিলিস্তিনিদের জীবন আরো সহজ হয়ে আসবে।
এদিকে, সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার কৃতিত্ব অনেকটাই বাইডেন প্রশাসনের। ২০২০ সালে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মিত্র সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে মিত্রতা স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন বাইডেন।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানে দ্বিরাষ্ট্রতত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন তিনি এবং আপাতভাবে তা দু’পক্ষ মেনেও নিয়েছে। এখন বাকি রয়েছে সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন।
বাইডেন প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, যদি মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তির মধ্যে মিত্রতা স্থাপিত হয়, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং কূটনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: আল আরাবিয়া, আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/আজাদ