পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সর্ব সাম্প্রতিক (গত শুক্রবার) বক্তব্যে কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গেল। ‘র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকানরা আর ব্রিটিশরা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘তাদের (র্যাব) প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা শিখিয়েছে কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারোগেশন (কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে)। এখন যদি এসবে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, তাহলে আবার নতুন করে ট্রেনিং (প্রশিক্ষণ) হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটা ধরে নেওয়া যায় যে র্যাবের মতো একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির ইচ্ছা বাংলাদেশ সরকারের ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের কারণেই এটি করতে হয়েছে। আর র্যাবকে যেহেতু প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাই এই বাহিনীর দ্বারা যদি কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই বড় সমস্যা রয়েছে। ফলে দায়টা অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রেরই। এখন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে নতুন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, র্যাব সৃষ্টি কোন সময় হয়েছিল, এটা সবাই জানে। যারা র্যাব সৃষ্টি করেছে, তারাই র্যাবকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।