তৃতীয় দফার শাসনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে দুটি সমস্যা। একটি তাঁর সরকারের তৈরি ত্রিভাষা নীতি, যার মধ্য দিয়ে তিনি তামিলনাড়ুসহ অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলোয় হিন্দি ভাষাশিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে চান। অপরটি সংসদীয় কেন্দ্রগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাস ও লোকসভার বহর বাড়ানো।
দুটি সমস্যাই প্রাচীন। বহু উদ্যোগ সত্ত্বেও দেশজুড়ে ত্রিভাষা নীতি আজও রূপায়িত হয়নি। হিন্দিকে সর্বত্র গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়নি, ‘রাষ্ট্রভাষার’ মর্যাদাও পায়নি, সরকারি বা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তা–ও একা নয়, ইংরেজি ‘দোসর’। অন্য সমস্যাটি, অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে দেশের আইনসভার বহর বাড়ানোর বিষয়টি, অর্ধশতাব্দী ধরে ধামাচাপা দেওয়া রয়েছে।
আগামী বছর সরকারকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রবল গোলমাল তা নিয়েও। তামিলনাড়ু দাবি জানিয়েছে, আরও ৩০ বছর সংসদের বহর অপরিবর্তিত থাকুক। এই দাবিতে তারা দাক্ষিণাত্যকে জোটবদ্ধ করতে চাইছে। সমর্থন পাওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে সাম্রাজ্য বিস্তারের চেষ্টায় মোগলদের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তারা রণে ভঙ্গ দিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকেও তেমনই অলঙ্ঘনীয় বাধার মোকাবিলা করতে হবে যদি তিনি জবরদস্তি এই দুই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন। প্রতিরোধের জন্য দাক্ষিণাত্য কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে।