পল্লবী থানা এলডিপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পল্লবী থানাধীন মীরপুর ১১, বাউনিয়াবাদ, ১৪ তলা, ৫নং বিল্ডিংয়ের ভাড়াবাসার নিচতলা লিফটের সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে জনতা একজন ঘাতককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী সন্ত্রাসী ও লুটেরা বাহিনী দিনের আলোয় প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড চালানোর এই দুঃসাহস কোথা থেকে পায়? জনগণ সরাসরি প্রশ্ন তুলছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারই কি তাদের পৃষ্ঠপোষক?
এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ও লুটেরা গোষ্ঠী সরকারের উপদেষ্টাদের সমর্থন নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেক উপদেষ্টার সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার এবং আওয়ামী দোসর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। কারণ বঙ্গভবনে বসে চুপ্পু এখনো জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল, হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। সহিংসতা থামছে না। এখন ছাত্রসমাজ, জনতা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে এবং তীব্র জনমত সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, সরকারের উচিত এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া—আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।