‘প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তি করেননি ঢাবি শিক্ষক সামিয়া ও মারজান’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের গবেষণা প্রবন্ধকে দুর্বল ও মানহীন বলে অভিহিত করেছে ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রবন্ধে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির যে অভিযোগ আনা হয়েছিলো তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, লেখকদ্বয় অভিযুক্ত প্রবন্ধটিতে প্রতি পাতায় ফুট নোট উল্লেখ করেনি। কিন্তু প্রতি প্যারায় উদ্ধৃতির পূর্বে মিশেল ফুকো ও অ্যাডওয়ার্ড সাঈদের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রবন্ধটির শেষেও রেফারেন্সে ফুকো ও সাঈদের রেফারেন্স দিয়েছেন। প্রবন্ধের কোথাও ফুকো ও সাঈদের কোনো উদ্ধৃতিকে লেখকদ্বয় নিজের উদ্ধৃতি বলে দাবি করেননি। তাই তাদের কার্যক্রমকে সরাসরি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।

এছাড়া দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তের নামে যে সময়ক্ষেপণ করেছে সেটাও তাদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে ট্রাইব্যুনাল। এ সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে দুই শিক্ষকের প্রবন্ধ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৯ সালে। ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। এতদীর্ঘ মেয়াদী তদন্তের ফলে এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে। একইভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে যা কখনো ন্যায় বিচারের জন্য কাম্য নয়। এত দীর্ঘসূত্রিতা মূলত ন্যায় বিচারকে পরাভূত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায় বিচার পাবার ক্ষেত্রেও বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালের প্রতিবেদনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে ট্রাইব্যুনালের এই প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সামিয়া রহমানের কৌসুলি ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম ইত্তেফাককে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট দেখেছি। সেখানে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রবন্ধটিকে মানহীন বলা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি লেখকদের লেখা কপি করা প্রসঙ্গে অনভিপ্রেত ভুল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রিপোর্ট দাখিল হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি হবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’জার্নালে প্রকাশিত হয়।

কিন্তু ২০১৭ সালে শিকাগো জার্নাল এর পক্ষে অ্যালেক্স মার্টিন নামে এক ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন যে, প্রকাশিত প্রবন্ধটিতে ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকো, বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম' গ্রন্থের বেশ কিছু অংশ হুবহু নকল করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। এরপরই শিক্ষকদ্বয়ের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

ওই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগকারী অ্যালেক্স মার্টিন কর্তৃক প্রেরিত ই-মেইলের কপি, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট, অভিযুক্ত প্রবন্ধ, দুই শিক্ষকের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কর্তৃক প্রেরিত তথ্যসমূহ, চৌর্যবৃত্তির সংজ্ঞা এবং সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধটির ইন্টারনেটভিত্তিক চুরি শনাক্তকরণ পরিসেবা প্রতিবেদন পরীক্ষা নিরীক্ষা (টারনিটিন পদ্ধতি) ও পর্যালোচনা করে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, অভিযুক্ত প্রবন্ধটিতে ৬০টি অনুচ্ছেদের মধ্যে প্রায় ৪৮টি অনুচ্ছেদ কপি করা হয়েছে। তার মধ্যে ‘কলোনিয়ালিজম টু কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম: অ্যাওয়ার্ড সাঈদ (পৃষ্ঠা:৮৭-৯১) অংশ, অ্যাডওয়ার্ড সাঈদ রচিত ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম' বইয়ের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রবন্ধটিতে ২৭ ভাগ কপি করা হয়েছে। এছাড়া মিশেল ফুকোর ‘দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’প্রবন্ধ থেকেও আনুমানিক পাঁচ পৃষ্ঠা (৩০ ভাগ) কপি করা হয়েছে। এমনকি ফুকোকে নিয়ে রায়ান জ্যাকবস এর লেখা থেকেও কোনো রেফারেন্স ছাড়াই নিজেদের লেখায় (৫ ভাগ) কপি করা হয়েছে। টারনিটিন পদ্ধতির মাধ্যমে দেখা যায় এই প্রবন্ধটিতে বিভিন্ন সোর্স থেকে আনীত প্রায় ৭০ ভাগ টেক্সটের মিল রয়েছে।

মানহীন প্রবন্ধ ছাপানোর জন্য এডিটর ও এডিটোরিয়াল বোর্ডকে অভিযুক্ত করা উচিৎ ছিল

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, লেখকদ্বয় অ্যাডওয়ার্ড সাঈদ ও মিশেল ফুকোর লেখাকে সরাসরি নিজেদের বলে দাবি করেননি সত্য। তবে, সাইটেশনের নিয়মানুযায়ী সরাসরি উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে শব্দসীমা থাকে, কিন্তু লেখকদ্বয় সেটা অনুসরণ করেননি। যদিও লেখকদ্বয় তাদের লিখিত বক্তব্যে বলছেন, প্রবন্ধটি মিশেল ফুকো ও অ্যাডওয়ার্ড সাঈদের তাত্ত্বিক কাজের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ, প্রবন্ধটির কোথাও সাঈদ ও ফুকোর বক্তব্যকে নিজেদের বক্তব্য বলে দাবি করেননি। প্রবন্ধটির শেষের দিকে সাঈদ ও ফুকোর রেফারেন্সও দেওয়া হয়েছে। আর্টিকেলটিতে সাইটেশনের ভুল আছে, তবে সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং সাইটেশন ত্রুটি বলে বিবেচনা করা যায়। অভিযুক্ত আর্টিকেলটি ২০১৬ সালে সাবমিট করা হয়। সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টারনিটিন সফটওয়্যারের সুবিধা ছিলো না। যদি থাকতো তাহলে এই অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো ধরা পড়ত। এমন একটি দুর্বল ও মানহীন প্রবন্ধ কিভাবে সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউতে ছাপা হলো তা ট্রাইব্যুনালের নিকট বোধগম্য নয়। রিভিউয়ার ও এডিটরিয়াল বোর্ড অবশ্যই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এজন্য তারা দায় এড়াতে পারেন না। এ ধরণের ভুলের জন্য এডিটর ও এডিটোরিয়াল বোর্ডকে অভিযুক্ত করা উচিৎ ছিল বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করে।

অভিযোগকারী অ্যালেক্স মার্টিনের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ

রিপোর্টে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, অভিযোগকারী অ্যালেক্স মার্টিনের পরিচয়টা ট্রাইব্যুনাল-এর নিকট পরিষ্কার নয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’জার্নালটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একটি নিজস্ব অফ লাইন জার্নাল। তাহলে কিভাবে এই অভিযুক্ত জার্নালের কপি শিকাগো জার্নালের এর অ্যালেক্স মার্টিনের নিকট হস্তগত হলো এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল সন্দেহ পোষণ করে। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি অ্যালেক্স মার্টিন নামে কোনো ব্যক্তি শিকাগো জার্নালের পক্ষে অভিযোগটি আদৌও করেছেন কিনা সে বিষয়ে কোনো অনুসন্ধান করেনি। ট্রাইব্যুনালের নিকট ই-মেইলটি যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে মনে হয়।

অন্যদের শোকজ না করে দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করায় ন্যায় বিচার পরাহত

তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত প্রবন্ধটির জন্য এককভাবে লেখকদ্বয়কে দায়ী করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত প্রবন্ধটি জমা দেওয়া থেকে শুরু করে রিভিউ, চূড়ান্তভাবে গ্রহণ ও ছাপানোর প্রক্রিয়াতে অস্বচ্ছতা ও অদক্ষতা রয়েছে বলে প্রত্যক্ষভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এক্ষেত্রে এডিটরিয়াল বোর্ড তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। ট্রাইব্যুনাল মনে করে, লেখকদ্বয় যেমন প্রবন্ধটি লেখার জন্য দায়ী ঠিক সমভাবে রিভিউয়ার এবং এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্যবৃন্দও দায়ী। তদন্ত কমিটিকে প্রবন্ধটির রিভিউয়ার এবং এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্যবৃন্দকে সাক্ষাৎকারে না ডেকে শুধুমাত্র লেখকদ্বয়কে অভিযুক্ত করায় ন্যায় বিচার পরাহত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করছে। তদন্ত কমিটি কেবল লেখকদ্বয়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের অভিযুক্ত করেছে। এডিটোরিয়াল বোর্ড, রিভিউয়ারদের সাক্ষাৎকারে না ডেকে এবং অ্যালেক্স মার্টিনের অভিযোগের ভিত্তি অনুসন্ধান না করে প্রতিবেদন দেওয়ায় প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা এবং ভিত্তি দুর্বল বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আরও দেখতে পায় যে, তদন্ত কমিটিকে শুধুমাত্র ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’জার্নালের ২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত অভিযুক্ত প্রবন্ধটি তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটি লেখকদ্বয়ের যৌথভাবে লিখিত আরো কিছু প্রবন্ধের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে যা প্রয়োজন ছিল না।

ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ

ট্রাইব্যুনালের সুপারিশে বলা হয়েছে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জার্নাল প্রকাশের ক্ষেত্রে অনুষদের ডিন মহোদয়ের মাধ্যমে এডিটরিয়াল বোর্ড, রিভিউয়ার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে গবেষণা কর্ম সম্পন্ন এবং প্রকাশনার সকল বিধি মেনে চলতে ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে অনুরোধ করে পত্র দেওয়ার সুপারিশ করছে। ভবিষ্যতে প্রকাশিত কোনো প্রবন্ধ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে, এডিটোরিয়াল বোর্ড ও রিভিউয়ারদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে মর্মে সতর্কতা পত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়া ভবিষ্যতে ন্যায় বিচারের স্বার্থে যে কোনো অভিযোগ দায়েরের পর থেকে অনুসন্ধান, তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময় (সর্বোচ্চ ৩ মাস) অনুসরণ করতে জোর সুপারিশ করে ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ভবিষ্যতে ওই দুই শিক্ষকের কোনো গবেষণায় এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তবে বিদেশি লেখকদের লেখার সঙ্গে হুবহু মিল থাকায় এবং অনভিপ্রেত ভুলের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকদের এক বছর পদোন্নতি থেকে বিরত রাখা এবং প্রত্যেকের একটি করে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করার সুপারিশ করা হয়। এ সুপারিশ উভয়ের ক্ষেত্রে শব্দটি প্রতিস্থাপিত একই সময় শুধু এক বছরের জন্য কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, যেহেতু গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনার জন্য জমা দেওয়ার পর রিভিউয়ার এর মতামত গবেষকদের নিকট প্রেরিত হয়নি/সংশোধনের সুযোগ পায়নি (গবেষকদ্বয়ের স্বীকারোক্তি ও তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি অনুযায়ী), রিভিউয়ার ও এডিটোরিয়াল বোর্ড দায়িত্ব পালনে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং একই সঙ্গে অভিযোগ উত্থাপন, তদন্ত থেকে ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত ৩ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হয়েছে তাই তাদের অপরাধ মার্জনার দৃষ্টিতে বিবেচনা করে শাস্তি লঘু করার পাশাপাশি প্রবন্ধটি সংশ্লিষ্ট জার্নাল থেকে বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের পরই শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। সেই গবেষণা প্রবন্ধে তার সহকর্মী প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট।

ইত্তেফাক/ইউবি



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews