মার্কিন শতকোটিপতি মাস্কের প্রতিষ্ঠিত অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের একটি বিভাগ স্টারলিংক। বিশ্বে কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট সেবা দিতে চাইছে এ বিভাগটি। এ কাজে ১২ হাজার ছোট ছোট স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে স্টারলিংকের। এতে করে দূর্গম অঞ্চলেও ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স।

কিন্তু এভাবে ইন্টারনেট সেবা দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ম মেনে আলাদাভাবে অনুমতি নিতে হবে স্টারলিংককে। এ প্রসঙ্গে এ বছরের জুনে স্টারলিংকের প্রেসিডেন্ট গুয়েন শটওয়েল বলেছিলেন, “আমরা সফলভাবে এক হাজার আটশ’ কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছি এবং একবার কৃত্রিম উপগ্রহগুলো কার্যক্ষম কক্ষপথে চলে যাওয়ার পর, আমরা ক্রমাগত বৈশ্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারব, এটি সেপ্টেম্বর নাগাদ হতে পারে। কিন্তু এ কাজ করতে গেলে আমাদের প্রত্যেক দেশে নিয়ন্ত্রণ কাজে হাত দিতে হবে এবং টেলিকম সেবা দেওয়ার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।”

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারত সরকার স্টারলিংককে নিয়ম মেনে চলতে এবং “ভারতে তাৎক্ষণিকভাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাটির জন্য বুকিং/রেন্ডারিং নেওয়া” থেকে বিরত থাকতে বলেছে।

স্টারলিংক নভেম্বরের এক তারিখে ভারতে নিবন্ধন নিয়েছে এবং বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করেছে। তবে, ভারত সরকার বলছে, আগেই নিজেদের সেবা বিক্রি শুরু করে দিয়েছিল বিভাগটি।

“আপাতত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই” বলেই জানিয়েছে স্টারলিংক।

কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট সেবা খাতে স্পেসএক্স একা নয়। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় আছে অ্যামাজনের কুইপার, ব্রিটেনের ওয়ারওয়েব, ভেঞ্চার-ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান প্ল্যানেট এবং রেথিয়ন টেকনোলজিস কর্পোরেশনের ব্লু ক্যানিয়ন টেকনোলজিস।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews