দেশের নদীভাঙন প্রবণ ১৩ জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ, সেখানকার সাধারণ মানুষ ও তাদের সহায়-সম্পদ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক চারটি বেসরকারি সংগঠন।

সোমবার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)’ এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছর যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙনে ১৩ জেলার প্রায় ২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। জেলাগুলো হচ্ছে- মাদারীপুর, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, রাজশাহী ও ফরিদপুর। এর মধ্যে কেবল মাদারীপুরে ৯ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলে প্রায় পাঁচ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।

ভাঙনপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অতি দ্রুত সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, ভরা বর্ষা মৌসুম ও বন্যা শুরুর আগেই এ কাজ করা না হলে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হবে। এছাড়া ভাঙনরোধে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বন্যার করালগ্রাসে বিস্তীর্ণ জনপদ, সেখানকার ফসল, ফসলি জমি এবং বহু স্থাপনা ধ্বংস হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল এবং পভারটি ইলুমিনেশন এ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহয়্যার (পিস) মহাসচিব ইফমা হুসেইন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews