ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) করা ১৭২ শহরের তালিকায় তলানির দিকে থাকা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম। অর্থাৎ শেষের দিক থেকে সপ্তম স্থানে রয়েছে প্রাচীন এ শহর।
কোন শহর কতটা বাসযোগ্য তা বোঝার জন্য স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো— এই পাঁচ মানদণ্ডে বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ১০০ ভিত্তিক সূচকে ঢাকার স্কোর এবার ৩৯ দশমিক ২। গত বছর স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৫।
গতবছর ১৪০টি শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৭তম।
গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, ৯৯ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকার প্রথমে রয়েছে ভিয়েনা। এর আগে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের তালিকাতেও ভিয়েনা ছিল শীর্ষে। কিন্তু করোনা এলে অস্ট্রিয়ার রাজধানী তার অবস্থান হারায়।
৯৮ স্কোর নিয়ে এবারের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং কানাডার ক্যালগারি। তার পরের অবস্থানটি কানাডার আরেক শহর ভ্যাংকুভারের।
শীর্ষ দশের মধ্যে ছয়টির অবস্থানই এবার ইউরোপের দখলে। কানাডার শহরগুলোও নিজেদের অবস্থানের উন্নতি ঘটিয়েছে।
বাসযোগ্যতার বিচারে তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, সব মিলিয়ে শহরটির স্কোর এবার ৩০.৭। ৩২.২ স্কোর নিয়ে নাইজেরিয়ার লাগোস তালিকার ১৭১তম এবং ৩৪.২ স্কোরে লিবিয়ার ত্রিপোলি ১৭০তম অবস্থানে আছে। আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, পাকিস্তানের করাচি, পাপুয়া নিউ গিনির রাজধানী পোর্ট মোরসবির পরই ১৬৬ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।