সকালে প্রত্যেক পরিবারের ঘরেই রান্না চড়ে। সেই রান্না যদি এলপি গ্যাসে হয়, তাহলে আগের চেয়ে বেশি খরচ হবে। নাশতার টেবিলে যদি আমদানি করা আপেল, নাশপাতি, আঙুরের মতো ফল কিংবা জুস থাকে, তাহলেও খরচ বাড়বে।
মুঠোফোনে দরকারি কথা সারবেন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন, তাতেও শান্তি নেই। মুঠোফোনে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে কর বাবদ ৩০ টাকা চলে যাবে। চাকরি বা ব্যবসার প্রয়োজনে রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও লাগবে বাড়তি টাকা। রাতে বাসায় ফেরার সময় ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে গেলেন, সেখানেও খরচ আরেকটু বাড়বে।
এভাবেই নতুন করে প্রয়োজনীয় শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। বাড়তি করের চাপটি এমন সময় এল, যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছেন মানুষ। গত ডিসেম্বরেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে শত পণ্যের শুল্ক ও কর বৃদ্ধি সাধারণভাবেই মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়াবে।
রাজধানীর বাড্ডায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পলাশ আহমেদ। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সাঁতারকুলে ভাড়া বাসায় থাকেন। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, গত দুই বছরে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, সেই হারে বেতন বাড়েনি। নতুন করে যেসব পণ্যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, সেগুলো নিত্যপণ্য। কথায় কথায় ভ্যাট বাড়ানো হলেও বেতন তো আর বাড়বে না। ফলে জীবন চালানো আরও কঠিন হবে।