চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে ইন্টার্নশিপ করতে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন মাহা শুবেইর। দুই বছরের ইন্টার্নশিপ শেষে এখন তিনি পুরোদস্তুর চিকিৎসক। আর দশজন চিকিৎসকের মতো এত দিনে তাঁর ‘স্বাভাবিক’ পেশাজীবন শুরু করার কথা; কিংবা উচ্চশিক্ষায়ও মগ্ন থাকতে পারতেন। মাহার কপালে এর কোনোটিই জোটেনি। কারণ, তাঁর জন্মভূমি ফিলিস্তিন। ইসরায়েলের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এই তরুণের বাড়ি। খালা, চাচাসহ হারিয়েছেন পরিবারের আট সদস্যকে। মা-বাবা, ভাই-বোনদের নিয়ে এখন তিনি আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী তাঁবুতে।
২০২৫ সালের শুরুতে মাহার জন্য আশার আলো হয়ে এসেছিল বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বৃত্তি। সম্পূর্ণ বিনা খরচে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন তিনি; কিন্তু ফিলিস্তিন সীমান্ত ইসরায়েলিদের দখলে থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁর বাংলাদেশে আসা।