২০২২-২৩ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটে কি মধ্যবিত্তের জন্য কোনো সুখবর থাকছে? প্রশ্নটি করছি কারণ, প্রতিদিনই খবরের কাগজে দেখছি বাজেটে কী থাকবে, কী থাকবে না।





সবশেষ দেখলাম, বিনা প্রশ্নে এবং কম ট্যাক্সে বিদেশ থেকে যত খুশি তত বিদেশি মুদ্রা আনা যাবে। কোন খাতে কত খরচ হবে তার হিসাবও দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, করপোরেট কর আরও কমানো হবে; কারণ বড় বড় কোম্পানির মালিকরা কষ্টে আছেন। এখন প্রশ্ন, এসব খবরের ভিত্তি কী?

হতে পারে গুজব, আবার হতে পারে এসব সরকারের কোনো অংশ প্রচার করছে আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য। তা হোক, কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য কোনো সুখবর পাচ্ছি না। বলা হতে পারে, প্রবাসী আয় উপার্জনকারীরা কি মধ্যবিত্ত নয়? হতে পারে, তবে বিদেশে অবস্থানকারী অনিবাসী নাগরিক। আমি বলছি রোদ-বৃষ্টি, ধুলাবালি, গরম সহ্য করে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহ্য করে যারা দেশের ভেতরে আছে-সেই শ্রেণির মধ্যবিত্তের কথা।

এরা সংখ্যায় নেহাত কম নয়। এটা বলছি গড়ের হিসাবে, কারণ দেশে ‘মধ্যবিত্ত’র সংজ্ঞা আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। সাধারণভাবে তাদেরই মধ্যবিত্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়, যারা বাজারে যায়, হোটেল-মোটেলে যায়, পরিভ্রমণে যায়, শপিংমলে যায়, ফ্রিজ-এসি কেনে, মোটরসাইকেল কেনে, ফ্ল্যাটবাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখে।

তাদের কথাই আমি বলছি। অর্থমন্ত্রী কি তার আসন্ন বাজেটে অর্থনীতির প্রাণভোমরা এ মধ্যবিত্তের জন্য কিছু ঘোষণা নিয়ে আসবেন? আমি জানি না তিনি কী করবেন। তবে ‘মধ্যবিত্ত’ যে সরকারের আনুকূল্যের জন্য প্রতীক্ষা করছে, তা বলতেই পারি।

‘মধ্যবিত্ত’ দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রবৃদ্ধির নির্ণায়ক শক্তি। তারা চায় উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক, প্রবৃদ্ধি হোক, অগ্রগতি হোক দুর্দমনীয়। কিন্তু এটা কি তার অস্তিত্বের বিনিময়ে, এটা কি সে কামনা করবে নিজে বিলীন হয়ে-এসব প্রশ্ন এখন ওঠে, প্রায়ই ওঠে। শুধু মধ্যবিত্ত নয়, অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মধ্যেও ‘উন্নয়ন’র সীমানা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আসলে ‘উন্নয়ন’র সীমা কোথায়, তা জানা নেই আমাদের।

তবে কিছু উদাহরণ সামনে আছে, যারা উন্নয়নের প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছে যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যস্ত অথবা অন্যরা তা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নয়নের চূড়ান্ত সীমায় গত শতাব্দীতে আমরা দেখেছি গ্রেট ব্রিটেন বা বিলাতকে। যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়ে সেই দেশ এখন দুনিয়ার এক নম্বর অর্থনীতির চাটুকারে পরিণত হয়েছে। সেখানে মধ্যবিত্ত এখন একবেলা খাবার পরিহার করে বাঁচার চেষ্টা করছে।

এই অতীতের শক্তি গ্রেট ব্রিটেন বাদে এখন ‘উন্নত দেশ’র সফল নজির হিসাবে আমাদের সামনে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও চীন। যুক্তরাষ্ট্র যে পথে উন্নয়ন করেছে, তার সম্পূর্ণ ভিন্ন পন্থায় উন্নতি করেছে জাপান। দুই ‘ধারণা’র দুই দেশ। মাঝখানে এখন পাচ্ছি চীনকে, যার উন্নয়ন অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সেখানে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই, একদলীয় শাসনের বেনামে এক ব্যক্তির শাসন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান গণতন্ত্র, ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ইত্যাদি মূল্যবোধের ওপর দাঁড়িয়ে উন্নয়নে লিপ্ত রয়েছে। এরা বাদে আছে জার্মানি, তারাও উন্নয়নে সফল। আরেকটি দেশ উন্নয়নের দৌড়ে এখনো ‘রানওয়েতে’-টেক-অফ করে করে ভাব।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক পন্থায় উন্নতির চরম শিখরে ওঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাকে অনুসরণ করে সব দেশ। শুধু অনুসরণ ও অনুকরণ নয়, সবারই চূড়ান্ত কাম্য-গন্তব্যস্থল হচ্ছে আমেরিকা। ভদ্রলোক, চোর-চোট্টা, গুন্ডা-বদমাইশ, অর্থ পাচারকারী, স্বৈরশাসক থেকে বিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ীদেরও গন্তব্যস্থান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাদের ওয়ার্কম্যানরা প্যান্ট ফুটো করে পরে, আমাদের দেশে তা অনুকরণ করা হয়। এক সময়ের সফল দেশ ইংল্যান্ড বা গ্রেট ব্রিটেনের অনুকরণে বাণিজ্যিক জগতে আমরা পদবি ব্যবহার করতাম-অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

এখন তা যুক্তরাষ্ট্রের অনুসরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিইও। হিসাবরক্ষণে আগে ছিল ‘দায়’ (লায়াবিলিটি) বাঁদিকে, সম্পদ (অ্যাসেট) ডানদিকে। এখন তা উপর-নিচে। এখন আমরা ‘ফ্লোর’র বদলে বলি ‘লেভেল’, ‘টয়লেট’র বদলে বলি ‘ওয়াশরুম’। বলাই বাহুল্য, মার্কিনিরা যা, আমরাও তা-ই হওয়ার চেষ্টা করছি। এটাই স্বাভাবিক-সবাইকেই সবাই অনুসরণ করতে চায়।

দিলীপ কুমার, আমিতাভ বচ্চন, লতা মুঙ্গেশকর, শচীন টেন্ডুলকার ইদানীংকালে, কিছুদিন আগেও আমাদের বয়সের মানুষের কাছে উত্তম-সুচিত্রা ছিল অনুকরণীয়। সফল মানুষকে সবাই অনুসরণ করতে চায়। আমরাও তা-ই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় দেশ-চীন নয় এখনো। অনেক কোম্পানি দেখা যায় এখন চাকরির ক্ষেত্রেও মার্কিনিদের অনুসরণ করছে। চাকরি সব চুক্তিভিত্তিক। ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ প্রতিনিয়ত। এ যেন সুযোগ-সুবিধাহীন আরেক যুক্তরাষ্ট্র।

এই যখন অবস্থা, তখন তো দেখতেই হয় সেই দেশের লোকেরা কেমন আছে! লোকেরা মানে বিল গেটস, সুন্দর পিচাইদের কথা বলছি না। বলছি সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের কথা, সাধারণ মার্কিন মধ্যবিত্তের কথা। ‘উন্নয়ন’, ‘উন্নতি’ ও ‘অগ্রগতি’র চূড়ান্ত পর্যায়ে মার্কিনিরা কেমন আছে? তাদের এ অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের কোনো শেখার আছে কিনা! শ্রীলংকার ব্যর্থতা থেকে যেমন শিখব, তেমনি দুনিয়ার সবচেয়ে সফল দেশটির কাছ থেকেও শিখতে হবে।

এ ক্ষেত্রে আমরা নির্ভর করব বিশ্ববিখ্যাত ‘টাইম ম্যাগাজিন’র একটা প্রতিবেদনের ওপর। প্রতিবেদনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মধ্যবিত্ত’র ওপর। এর থেকে বোঝা যায় ওই দেশে মধ্যবিত্তের অবস্থা কী। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কী ধরনের ধারণা পোষণ করেন। বলা বাহুল্য, দুনিয়ার সবচেয়ে উন্নত দেশটির মধ্যবিত্তের অবস্থা যদি হতাশাজনক হয়, তাহলে আগামী দিনে ‘উন্নত বাংলাদেশ’র মধ্যবিত্তের অবস্থা কী হতে পারে!

‘টাইম ম্যাগাজিন’র প্রতিবেদনটির নাম ‘মধ্যবিত্ত, আশার আলোর কম’ (মিডল ক্লাস, লো হোপস)। এটি ছাপা হয়েছে মে মাসের ৫ তারিখে। নিবন্ধ/প্রতিবেদনটিতে অনেক জরিপ থেকে তথ্য জোগাড় করে ব্যবহার করা হয়েছে। অনেকের সঙ্গে তারা কথা বলেছে। উদাহরণ ব্যবহার করেছে। প্রতিবেদনটি শেষ করা হয়েছে একজন মার্কিন নাগরিকের একটি মন্তব্য দিয়ে, যা খুবই কটু। ওই নাগরিক বলেছেন, ‘আমি এই দেশকে ঘৃণা করি।’

কী মর্মস্পর্শী কটূক্তি! একটি দেশের একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোক কী পর্যায়ে গেলে বলে সে তার দেশকে ঘৃণা করে! তাও কোন দেশের মানুষ? যে দেশটি দুনিয়ার মধ্যে ‘শ্রেষ্ঠ’। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, উন্নতি, প্রকৌশল, সুযোগ-সুবিধা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ইত্যাদি দৃষ্টিকোণ থেকে যে দেশ দুনিয়ার এক নম্বর রাষ্ট্র, যে দেশ সামরিক শক্তিতে এখনো এক নম্বর, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, যে দেশ বিদেশিদের সাদরে গ্রহণ করে, সেই দেশের মধ্যবিত্ত যদি আজ এ কথা বলে, তাহলে তা ভাববার বিষয় হয় তো বটেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবিত্ত কারা?

প্রতিবেদনটিতে মধ্যবিত্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এখন যেসব মার্কিনির বার্ষিক আয় ৪২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশের টাকায় (এক ডলার সমান ১০০ টাকা) এর পরিমাণ দাঁড়ায় বার্ষিক ৪২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মাসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৪ হাজার থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার উপর। মাথা গরম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা নয় কি? না, এভাবে হয় না।

তারা ডলারে রোজগার করে, ডলারে খরচ করে। টাকায় রূপান্তর করে হিসাব করে না। এতে বোঝা যায় তারা কী ধরনের রোজগার মাসে করে। এত রোজগার করার পরও সেই মধ্যবিত্তের অনুভূতি কী? ‘টাইম ম্যাগাজিন’ সেই মধ্যবিত্তদের অনুভূতিকে কয়েকটি বাক্যে প্রকাশ করেছে। কোনো কোনো মধ্যবিত্ত বলেছে, ‘আমেরিকান স্বপ্ন একটি বিকট নিশাস্বপ্ন, এতে বুকে চাপাভাব আসে, বাকরুদ্ধ হয়’।

কেউ বলেছেন, ‘সত্যি এটা হতাশাজনক, আমি আশা ছেড়ে দিচ্ছি। আমি জানি না আমি কী করব।’ আবার কেউ বলেছেন, ‘আমাদের যা করা দরকার তা করেছি-কিন্তু এখন আমরা ব্যয়ভারে ন্যুব্জ।’ আবার আরেকজন মধ্যবিত্ত বলেছেন, ‘আমি জীবনে বহু ডলার রোজগার করেছি, কিন্তু তবু আমি একটি বাড়ি কিনতে পারছি না।’ অপর মধ্যবিত্ত বলছেন, ‘এখানে আমাদের শিকড়; শিকড়চ্যুত হতে চাই না।’

এ কয়েকটি অনুভূতি থেকে কি বোঝা যাচ্ছে না আমেরিকার মধ্যবিত্তরা কেমন আছে! শ্রমজীবী মানুষের কথা আর বলার দরকার নেই। অথচ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০১৯ সালে বলেছিলেন, ‘যখন মধ্যবিত্ত ভালো করে তখন সবাই ভালো করে, বেশি বেশি ভালো করে।’ আবার বিপরীতে যখন ধনীরা ভালো করে, বেশি বেশি ভালো করে, তখন গরিবদের একটু সুযোগ হয়, ভাবে হয়তো তাদেরও ভালো হতে পারে (অনিশ্চয়তার জীবন)। বাইডেনের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করা যাবে না। কিন্তু তার দেড় বছরের রাজত্বে কি মধ্যবিত্তের জীবনে কোনো স্বস্তি ফিরে এসেছে? নিশ্চয়ই না।

সারা দুনিয়ার মানুষের চেয়ে মার্কিনিরা গড়ে আরও বেশি ভুগছে। বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে সারা দুনিয়াকে বিপাকে ফেলে দিয়েছেন। এই বিপদ যে কবে কাটবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অথচ এই সুযোগে ধনীরা, অতি ধনীরা, অস্ত্র ব্যবসায়ীরা মিলিয়ন মিলিয়ন, বিলিয়ন বিলিয়ন (শত কোটি) ডলার কামিয়ে নিচ্ছে। আর মার্কিন মধ্যবিত্তরা একটা বাড়ি/ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্নও দেখতে পাচ্ছে না।

স্বামী-স্ত্রী উভয়ে চাকরি করে, রোজগার করেও তা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ফ্রিজ চলে না, এসি/হিটার চলে না। আমোদ-ফুর্তি বন্ধ। ছাত্রজীবনের ঋণ পরিশোধ, গাড়ির ঋণের কিস্তি পরিশোধ, বিভিন্ন ইউটিলিটির বিলের টাকা পরিশোধ করে তাদের বাড়ি কেনার কোনো টাকা আর থাকে না। ভাড়া বাড়িতে থাকে। ভাড়া বৃদ্ধির কারণে সস্তা বাড়িতে যায়, মফস্বলে যায়। স্বামী-স্ত্রী দিন-রাত পরিশ্রম করে, সন্তানের পিতা-মাতা হওয়ার স্বপ্ন তারা দেখতে পারে না। সন্তানের খরচ কে নির্বাহ করবে? যুবক-যুবতী বিয়ের স্বপ্নও দেখে না।

অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তারা ‘লিভ টুগেদার’ করে। মাঝেমধ্যে তাদের সন্তান হয়-এদের বলা হয় ‘নিউ রিয়েলিটি চাইল্ড’। মূল্যস্ফীতি তাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে রেখেছে। গত এক বছরে তাদের বাড়ির দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ, অন্যান্য দ্রব্যের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। বিপরীতে ঘণ্টায় শ্রমের দাম কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।

দেখা যাচ্ছে, আজকের মধ্যবিত্তদের মা-বাবারা অনেক ভালো ছিলেন। তারা তাদের আয় দিয়ে বাড়ি করেছেন একটি-দুটি, বিয়েশাদি করেছেন, সন্তানের মাতা-পিতা হয়েছেন। যতই দিন যাচ্ছে, ততই তিনটি জিনিস যুক্তরাষ্ট্রে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে : আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও উচ্চশিক্ষা।

এক দুঃস্বপ্নের জীবন, হতাশার জীবন, অন্ধকারময় জীবন, বাকরুদ্ধ জীবন। আগে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন মজুরি নির্ধারণে চাপ তৈরি করতে পারত। আজ তা নেই। ‘রোবট’ জায়গা দখল করছে। বিপরীতে ‘বিলিয়ন’র মালিকরা ‘ট্রিলিয়ন’র মালিক হচ্ছেন।

পরিশেষে বলা দরকার-বাংলাদেশের মধ্যবিত্তরা কি ভালো আছেন? আগামী দিনে উন্নতির পর উন্নতি হলেও কি তারা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবেন? নাকি তারাও মার্কিন মধ্যবিত্তের মতো একটা ‘মার্জিনালাইজ্ড কম্যুনিটিতে’ পরিণত হবে? হতাশায়, আশঙ্কায় ভুগবে মধ্যবিত্ত? অথচ মধ্যবিত্ত, নিুবিত্ত, উদীয়মান মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষই ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের মূল শক্তি। অর্থমন্ত্রী শুনেছি গরিবের ছেলে ছিলেন। তিনি কি তাদের কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন?

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews