দাম কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় শুক্রবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগছে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়।
সোনা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক মাসে দেশে অনেকবারই সোনার দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এর প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারে। সর্বশেষ দফায় গত ২২ মে মূল্যবৃদ্ধির পরে সোনার অলংকার বিক্রি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর আমিন জুয়েলার্সের নিউমার্কেট শাখার বিক্রয়কর্মী স্বপন মণ্ডল জানান, সাধারণ সময়ে তাঁদের দোকানে প্রতিদিন অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন গ্রাহক গয়না কিনতে আসতেন। মূল্যবৃদ্ধির পরদিন গত সোমবার সেখানে মাত্র আটজন গ্রাহক এসেছেন। গত বুধবারও বিক্রির অবস্থা প্রায় একই রকম ছিল। তিনি বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই বিক্রি ২০ শতাংশের মতো কমেছে। সেখানে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধিতে আরও প্রায় ১০–১৫ শতাংশ বিক্রি কমে গিয়েছিল।
নিউমার্কেট এলাকার রিজভী জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপক সুমন দাসও প্রায় একই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দাম এখন গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অধিকাংশ ক্রেতা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। কেউ কেউ অবশ্য আসছেন, তবে দাম শুনেই চলে যান। বাড়তি দাম দিয়ে সোনা কেনার মানসিকতা তৈরি হতে ক্রেতাদের আরও কিছু সময় লাগবে। সে পর্যন্ত আমাদের ব্যবসা হয়তো ভালো যাবে না।’
সুমন দাস আরও জানান, তাঁদের বিক্রয়কেন্দ্রে এখন ব্রাইডাল সেটের মতো বড় গয়না বিক্রি একদমই কম হচ্ছে। সে তুলনায় আংটি, দুল ও চেইন—এসব ছোট অলংকার কিছু বিক্রি হচ্ছে।