‘টয়লেটে ঢুকিয়ে হাত-পা বেঁধে মার দিত। মারের পর জখমে মরিচ লাগিয়ে দিত। দেয়ালে মাথা বাড়ি মারত। খাবার দিত কম। এইটুকু ভাত, আর এইটুকু তরকারি। আমি আর কথা বলব না। আমি শুধু বিচার চাই। আমার সঙ্গে যা করেছে, তার জন্য শাস্তি চাই।’
এভাবে কথাগুলো বলল ফারজানা আক্তার। গত রোববার বিকেলে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় বসে কথাগুলো বলে সে।
ফারজানার হাড্ডিসার শরীর। শরীরের তুলনায় পেট ফুলে আছে বেশ। মাথার চুল ছোট করে কাটা। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন। কনুইয়ে পোড়া দাগ। কানেও আছে আঘাতের প্রভাব।
ফারজানার চোখ দুটো গর্তে ঢুকে গেছে। সে উত্তেজিত হয়ে যখন কথা বলে, তখন মনে হয়, গর্ত থেকে চোখ দুটো বের হয়ে আসবে।