৩ মে ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এই দিন বাংলাদেশের গণমাধ্যম, এর সঙ্গে যুক্ত সম্পাদক, লেখক, কলামিস্টসহ সবার বক্তব্যে মোটাদাগে একটি আফসোসই ফুটে উঠেছে, আর তা হলো, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকও এই ইঙ্গিতই দেয়। কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত পেছাতে পেছাতে এই বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। বাংলাদেশ পেছাচ্ছে, এটা খুব নতুন খবর না। তবে যা লক্ষণীয় তা হচ্ছে আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ তো বটেই এমনকি মিয়ানমারের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও আমাদের চেয়ে ভালো। প্রত্যেকেই এর মূল কারণ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে দায়ী করলেও বাংলাদেশের আজকের এই অবস্থায় আসার পেছনে শুধু একটি আইনই দায়ী বলে আমি মনে করি না।
করোনার নতুন বাস্তবতায় মুক্ত গণমাধ্যম এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর এ-সংক্রান্ত আইনের একটা নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। করোনার সূচনাতেই আমরা দেখেছি চীনের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার। চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের কথা বলেছিলেন লি ওয়েনলিয়াং নামের একজন চিকিৎসক। তিনি আশঙ্কা করছিলেন নতুন একধরনের ভাইরাসের, যার লক্ষণ আগের সার্স ভাইরাসের মতো। সামাজিক মাধ্যমে এমন কথা বলার অপরাধে চীন সরকার তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে চরমভাবে তিরস্কার করে এবং এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করে।