নারী, জীবন ও স্বাধীনতা। ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ হাতে আটক অবস্থায় মাসা আমিনি (২২) নামের এক তরুণীর মৃত্যুর খবরে দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভের স্লোগানে এসব শব্দই উচ্চারিত হচ্ছে। হিজাব পরায় নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগে মাসা আমিনিকে আটক করেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। এই নৈতিকতা পুলিশ ‘গাশত–এ এরশাদ’ বা ‘গাইডেনস পেট্রল’ নামেও পরিচিত। নারী পর্দা মেনে চলছে ও ইসলামি পোশাক পরছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব তাদের। ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন মাসা আমিনি, তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ইরানের জনগণের বিশ্বাস, তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন নৈতিকতা পুলিশের সদস্যরা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাসা আমিনির মৃত্যু স্ফুলিঙ্গের মতো ইরানিদের ক্ষোভের আগুনকে জ্বালিয়ে দেয়। এই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল কয়েক দশক ধরে। এর মূলে রয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের চার দশকের পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়ন আর নারীর প্রতি সহিংসতা। এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন ইরানি নারীরা।