লিটন দাসের রানে ফেরার ম্যাচে বড় সংগ্রহই পেয়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখলেন প্রায় প্রত্যেকেই। মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে আরও একটি পরাজয়ের মাল্য পরিয়ে সিলেট বের হলো পরাজয়ের বৃত্ত থেকে।
বিপিএলের চলতি আসরে পয়েন্ট তালিকার তলানীর দুই দলের লড়াইয়ে শুক্রবার ঢাকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৮ বল হাতে রেখেই। জয়ের নায়ক জাকির হাসান করেন ২৭ বলে ৫৮ রান।
আসরে চার ম্যাচে সিলেটের প্রথম জয় এটি। অন্যদিকে এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচেই হারল ঢাকা।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই রাকিম কর্নওয়েলকে হারায় সিলেট। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হন এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। পরের ওভারে আউট হন জর্জ মুনসিও। তবে দলটির হয়ে এরপর যারাই ব্যাটে এসেছেন, রেখেছেন অবদান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রানরেট ছিল নাগালে।
ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন জাকির হাসান। এই কিপার ব্যাটার ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ বলে করেন সর্বোচ্চ ৫৮ রান। ২০ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রনি তালুকদার। ১৭ বলে ২৪ রানে অবদান রাখেন জাকের আলি। ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রানে শেষটা টানেন অধিনায়ক আরিফুল হক।
ছয়জন বোলার ব্যবহার করেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। পাঁচজন পান উইকেটের দেখা। দুজন নেন দুটি করে। ৩৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ফারমানউল্লাহ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট বেছে নেওয়া ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ২৩ ইনিংস পর ফিফটি করতে পারলেন তিনি। চার নম্বর থেকে এদিন আবার তিনি উঠে আসেন ওপেনে। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসানকে হারানোর পর মুনিম শাহরিয়ারের সঙ্গে লিটন গড়েন ১২৯ রানের জুটি।
৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করে লিটন পেরেন ১৬তম ওভারে। এরকই ওভারে মুনিম ফেরেন ৫২ রান করে। তবে তার ব্যাট ছিল ধীর। ৭ চার ও ১ ছক্কায় তিনি এই রান করেন ৪৭ বলের মোকাবেলায়।
পরে সাব্বির রহমানের ১০ বলে ২৩ ও থিসারা পেরেরার ৯ বলে ১৮ রানে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে রাজধানীর দলটি।
২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার কর্নওয়াল। ৪ ওভারে ৫৮ রান দেন আল-আমিন হোসেন।