গতকাল শুক্রবার সকাল সাতটায় স্বজনেরা জহুরাকে নেন মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে। সেখানেও আইসিউই খালি না থাকায় তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিতে বলেন চিকিৎসকেরা। সকাল নয়টার দিকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালেও নেওয়া হয় জহুরাকে। সেখানে আইসিইউ শয্যা পেয়েও খরচ বেশি হওয়ায় স্বজনেরা তাঁকে আবার ডিএনসিসি হাসপাতালে নেন। দ্বিতীয়বার আসার প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা দেড়টার দিকে শয্যা খালি হলে ভর্তির সুযোগ হয় জহুরার।
মাকে নিয়ে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে ক্লান্ত মো. আলাউদ্দিনের প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবখানেই চিকিৎসক ও নার্সদের অনেক করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু অক্সিজেন নেই, শয্যা খালি নেই—এসব বলে ফিরিয়ে দিয়েছে।’
গতকাল বেলা একটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পরপর করোনা শনাক্ত বা করোনার উপসর্গের রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। আড়াই ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে এমন রোগী আসেন ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হন। আইসিইউ না থাকায় ফেরত যেতে হয় দুজনকে।