লিটন দাস ও মুনিম শাহরিয়ারের হাফ সেঞ্চুরিতে ঢাকা ক্যাপিটাল চলতি বিপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর করেছিল। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে তারা মাঝের ওভারে দারুণ বোলিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু জাকির হাসানকে শুরুতেই রান দেওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে ঢাকাকে। ৩ উইকেটে তাদেরকে টানা ষষ্ঠ হারের হতাশায় ভাসিয়ে চতুর্থ ম্যাচে প্রথম জয় পেলো সিলেট।
সিলেটে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে। ৭ রানে তানজিদ হাসান তামিম (৬) রাকিম কর্নওয়ালের শিকার হন। দ্রুত ওপেনিং জুটি ভাঙলেও লিটন দাস ও মুনিম শাহরিয়ারের ১২৯ রানের দারুণ জুটিতে বড় স্কোরের ভিত গড়ে ঢাকা। যে কোনও উইকেটে দলটির এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন লিটন। মুনিমও ফিফটি হাঁকান, ৪৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ১ ছয়।
এরপর সাব্বির রহমানের ১০ বলে ৩ ছয়ে ২৩ রানের ক্যামিও। অধিনায়ক থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৪১ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তিনি। ৯ বলে ১৮ রান করেন থিসারা।
সিলেটের পক্ষে কর্নওয়াল সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ওভার শেষে ১৯ রানে সিলেটের দুই ওপেনারের বিদায়। ওই ধাক্কা বুঝতেই দেননি জাকির। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৭৪ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা।
২৫ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ফিফটি হাঁকানো জাকির দলীয় স্কোর একশ পার করে বিদায় নেন। ২৭ বলে তার ৫৮ রানের ইনিংসে ছিল আরেকটি ছয়। মাঝে ৮ বলে দুই ছয়ে ১৪ রানের কার্যকরী পারফরম্যান্স করেন অ্যারন জোন্স। চতুর্থ উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে জাকিরের ৪৬ রানের জুটিও দারুণ ভূমিকা রাখে।
দশম ওভারে ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল সিলেট। তবে রনি তালুকদার ও জাকের আলীর ৪৯ রানের ঝড়ো জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। পরপর দুই ওভারে দুজনকে বিদায় করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল ঢাকা। ১৬০ রানে সাত উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। রনি ২০ বলে ৩০ ও জাকের ১৭ বলে ২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
তবে আরিফুল হক রক্ষাকর্তার ভূমিকায়। ১৮তম ওভারে আবু জায়েদ রাহির বলে এক ছয় ও দুটি চারে ১৪ রান তুলে নেন তিনি। তাতে জয়ের শঙ্কা দূর হয়ে যায়। অধিনায়কের ১৫ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ঢাকাকে হারায় সিলেট। ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় তারা। স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১৯৭ রান।
প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন জাকির।