গ্রুপ পর্বে এখন পর্যন্ত জার্মানির যে পারফরম্যান্স, তাতে দলটি নিয়ে বেশি আশাবাদী হতে পারছি না। শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া জার্মানির জন্য খুবই কঠিন হবে। তবে গ্রুপ পর্বে খেলেই ধীরে ধীরে গুছিয়ে উঠছে জার্মানি। আশা করছি, তারা সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাবে। তবে এই দলটির জন্য সে পর্যন্ত যাওয়াটা অনেক বেশি কিছু হবে। আর বিশ্বকাপ জয়! জার্মানি এবার তা করে দেখাতে পারবে, সেটা আমি ভাবতেই পারছি না।

জার্মানিকে ভুগতে হচ্ছে রক্ষণভাগের দুর্বলতার কারণে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে নিয়মিতই গোল হজম করতে হচ্ছে। রক্ষণভাগের সমস্যা যত দ্রুত ঠিক করে নিতে পারবে, জার্মানির জন্য ততই মঙ্গল। আমরা জার্মানি দলে এখনও চারজন আদর্শ ডিফেন্ডার খুঁজে পাইনি। আর ফুল-ব্যাকরা প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের জন্য এখনও দুর্ভেদ্য রক্ষণ দেয়াল গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৪ সালে জার্মানি যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়, তারা চারজন সেন্টার-ব্যাক নিয়ে খেলেছিল। কাতার বিশ্বকাপেও আমাদের চারজন সেন্টার-ব্যাক নিয়ে আসা উচিত ছিল।

কোচ কার্লোস (কুইরোজ) ইরান জাতীয় দলের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দল কলম্বিয়ার হয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পর মিসর জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিলেও দলটিকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের গণ্ডি পার করাতে পারেননি। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইরানের দায়িত্ব নেন। যেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন।

ওয়েলসের বিপক্ষে ইরানের জয়ের পর বলেছিলাম, কার্লোস কুইরোজ দলটির সঙ্গে এবং ইরানের সংস্কৃতির সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন। আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি, দল হিসেবে ইরানের খেলোয়াড়, স্টাফদের বোঝাপড়া অনেক ভালো। তাদের সাইড বেঞ্চে যে আবেগের প্রকাশ আমি দেখেছি, দলের সাফল্যে খুশিতে লাফিয়ে উঠছিলেন। কার্লোস (কুইরোজ) সাইড লাইনে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন। রেফারির সঙ্গে, লাইন্সম্যান এবং ম্যাচ কর্মকর্তার সঙ্গেও সারাক্ষণ কথা বলেছেন ইরান কোচ। ম্যাচে অনেক ঘটনাই ঘটে, যেটা আমরা দেখতে পাই না। ইরানের সংস্কৃতিই এমন তারা আপনাকে ম্যাচ থেকে বিচ্যুত করতে পারে। কোনো দলের সাফল্যের জন্য এসবের প্রয়োজন আছে।

তিনি (ইরান কোচ) আমার বক্তব্য ভুলভাবে নিয়েছেন। কারণ, তাঁর চোখে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোচ এবং পরবর্তী ম্যাচে কার্লোসের শিষ্যরা যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে। নকআউট পর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য দুই দলের কাছেই ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কার্লোস ভেবেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমি তাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আসলে আমার বক্তব্য উস্কানিমূলক নয়। আমি শুধু তাদের পুরো দলের মধ্যে আবেগি সম্পর্কের অবস্থাটা তুলে ধরতে চেয়েছি। এটা ইরান দলের জন্য কাকতালীয় ব্যাপার নয়। এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। তারা এভাবেই নিজেদের পুরো নিবেদন দিয়ে ফুটবল খেলে থাকে।

জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ও কোচ



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews