সম্প্রতি ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, পাকিস্তানে দরিদ্র্যতার কারণে ১৫ বছর বয়সের আগেই ২০-৪৯ বয়সী নারীদের বিয়ে হয়েছে। আর ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়েছে ৩১ শতাংশ নারীর। পাকিস্তানের প্রায় ৩৩ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে জড়িত। এছাড়াও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ জাতীয়ভাবে জন্মের সময় নিবন্ধিত হয়।

খুব ছোট থেকেই শিশুরা তাদের পরিবারের সহায়তার জন্য ঘরের বা শিল্প কাজে লিপ্ত হয়। শারীরিক, যৌন, অর্থনৈতিক এবং মানসিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শিশুদের শোষণ পাকিস্তানে তাদের বৃদ্ধি এবং উন্নয়নে ক্রমাগত বাধা হিসাবে কাজ করছে। এর ফলে তারা শৈশব হারাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

পাকিস্তানে জোরপূর্বক শিশু শ্রম সাধারণত ইট, কার্পেট এবং কয়লা শিল্পে ঘটে। বিশেষ করে যারা কার্পেট কারখানায় কাজ করে তারা কখনও কখনও দিনে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে সপ্তাহে সাত দিন। কাজের জায়গাতেই তারা খায় এবং ঘুমায়।

দুনিয়া নিউজে একটি ব্লগ পোস্ট মেহমিল খালিদ লিখেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর নীতিকাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা সত্ত্বেও শিশু শ্রমের বিপদ পাকিস্তানকে ছাড়েনি। জন্ম নিবন্ধন শিশুদের মৌলিক অধিকার। কারণ এটি সন্তানের অস্তিত্ব এবং পরিচয়ের আইনি প্রমাণ দেয় এবং তাদের অল্প বয়সে বিবাহের মতো অন্যায় সামাজিক রীতিনীতি থেকে বাঁচায়।

পাকিস্তান এমপ্লয়মেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাক্ট ১৯৯১ এর অধীনে একটি আইন পাস করেছে যা কারখানা, কার্পেট শিল্প এবং খনির মতো অনিরাপদ এবং বিপজ্জনক পরিবেশে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করে।  

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews