অন্তত ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার শিকার ভুক্তভোগীদের স্বজনেরা বলেছেন, গভীর রাতে সেলিমের বাড়িতে অস্ত্রসহ ‘অপরিচিত কয়েকজনের’ উপস্থিতি এবং হট্টগোলের কারণে প্রতিবেশীসহ আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নেও গ্রেপ্তার করতে আসা ব্যক্তিরা তাঁদের পরিচয় প্রথমে দিতে চাননি। এতে স্থানীয় মানুষ ওই ব্যক্তিদের ডাকাত বলে সন্দেহ করেন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান। এরপর স্থানীয় লোকজন ‘ডাকাত ডাকাত’ চিৎকার করলে বরগাঁ গ্রামের আরও লোকজন এগিয়ে আসেন। তখন নিজেদের র্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেন অভিযানে যাওয়া ব্যক্তিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, স্থানীয় লোকজন ‘ডাকাত ডাকাত’ চিৎকার শুরু করার পর র্যাব সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ৬৫ বছর বয়সী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তিনি বাঁশের টুকরি বোনার কাজ করতেন। আর গুলিবিদ্ধ হুমায়ুন কবিরের (৫৮) ওষুধের দোকান রয়েছে। তাঁর দুই পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর প্রতিবেশী মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করার খবর শুনে তিনি তাঁর বাড়িতে যান। তখন তিনিও গ্রেপ্তার করতে আসা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চান। তখন সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি সরে আসতে চেয়েছিলেন। এ সময় হঠাৎ তাঁর পায়ে গুলি লাগে।
ঘটনার বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ জানায়, রোজিনা আক্তার (৩৪) নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় করা মামলায় মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করতে র্যাবের দলটি বরগাঁ এলাকায় গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে সোনারগাঁয়ের তালতলা বাজার এলাকা থেকে ওই নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। রোজিনার বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলায়। তিনিও পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।