দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও চারদিনের বিরামহীন ভারী বর্ষণে বরগুনার মৎস্য ও কৃষিখাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে জেলার ছয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে ঘরবাড়ি ও আবাসন প্রকল্প জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার বসতঘর ও রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবারের রান্না এখন বন্ধ। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন এসব পরিবারের হাজার হাজার মানুষ।

জেলা মৎস্য বিভাগের দাবি, উপকূলের বরগুনা,পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী, আমতলী ও তালতলীতে ৫৮১টি পুকুর ও ১৫৩টি মাছের ঘের তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ। এতে তাদের কমপক্ষে চার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, বরগুনার ছয়টি উপজেলায় আট হাজার ৩০০ হেক্টর আমনের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও চার হাজার ৭৫৬ হেক্টর আউশ ক্ষেতের মধ্যে তিন হাজার ৩০৩ হেক্টর আউশের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ৪১৩ হেক্টর পানের বরজের মধ্যে ২১৫ হেক্টর বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও লাউ, কুমড়া, শসা, ঝিঙাসহ এক হাজার ২৭০ হেক্টর মৌসুমি সবজির ক্ষতি হয়েছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক রশিদ বলেন, অতি বৃষ্টিতে বরগুনায় কৃষিখাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক পূর্ণাঙ্গ ক্ষতির তালিকা তৈরি করতে আরো তিন-চার দিন লাগবে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব নয়া দিগন্তকে বলেন, জেলার ছয়টি উপজেলায় ৫৮১টি পুকুর ও ১৫৩টি মৎস্য ঘের তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ। এতে মৎস্য খাতে চার কোটি টাকার অধিক আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews